Dhaka 7:23 am, Sunday, 20 April 2025
সর্বশেষঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই শিক্ষকের জমকালো আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কবি আসাদ উল্লাহর কবিতা – জানে না বাউল উদাসী সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালিহাতীতে চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শাহীন সিদ্দিকী গংদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন সরকারি গাড়িতে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ইউএনও’কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কক্সবাজার – মহেশখালী নৌ রুটে প্রথমবার চালু টেকনাফ সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের অফিসে আগুন শিবালয়ে জাফরগঞ্জ পোষ্ট অফিস ভবন পুনঃস্থাপন চায় এলাকাবাসী

ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

নিম্নবিত্ত মানুষের জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের নিশ্চয়তা না থাকেলে সরকার ঘোষিত লকডাউন বা কঠোর লকডাউন কোনটাই কার্যকর হবে না। জনগনকে ঘরবন্দি করার আগে দরকার খাদ্যের নিশ্চয়তা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছেন, প্রান্তিক মানুষদের খুবই সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের ক্ষুধা দূর করা না গেলে ভয় দেখিয়ে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না। লকডাউন সফল করতে হলে অভাবি মানুষের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা  পৌঁছাতে হবে।
সোমবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনার প্রথম বছরের ক্ষয়ক্ষতি এখনও সাধারন মানুষ সামলে উঠতে পারে নাই। এর মধ্যে দ্বীতিয় ঠেউ সাধারন মানুষকে অসহায় করে তুলেছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে সাধারন মানুষ। নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এ সময়টায় চলা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষেও কিন্তু সবার জন্য খাদ্যের যোগান দেওয়া কোন ব্যবস্থা হয়েছে বলে কারো জানা নাই। তবে, লকডাউন কার্যকর করতে হলে খেটে খাওয়া দিনমজুর, বাসের হেলপার, রিকশাওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের সহায়তা দিতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, লকডাউন ঘোষনার মধ্যে আবার কলকারখানা, গার্মেন্টস, সরকারি বেসরকারি সব অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ। এর চেয়ে অমানবিকতা, নির্মমতা আর কি হতে পারে? যারা এই ঘোষণা দিয়েছে তারা না হয় ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েন। কিন্তু, গার্মেন্টস কর্মী, কারখানার শ্রমিক, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী তারা যাওয়া আসা করবে কিভাবে ? সরকার মুলত কারখানা, গার্মেন্টস মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সব খোলা রাখছেন, কিন্তু শ্রমিকদের বুকে লাথি মেরে।
তারা আরো বলেন, মালিকরা ঠিকই গাড়ি চড়ে গিয়ে কোন শ্রমিক সময়মত কাজে যোগ দেয়নি তার হিসেব করে বেতন কাটা শুরু করবে। আর চাকরি বাচানোর দায়ে শ্রমিকরা পায়ে হেটে, ঘরভাড়ার টাকা থেকে কয়েকগুন বেশী রিক্সা ভাড়ায় কারখানায় যোগ দিবে। জনমনে প্রশ্ন যারা এসব প্রজ্ঞাপন লিখেন তারা কি আসলে মানুষের কথা ভাবেন ? তারা কি এসব বুঝেন না ? নাকি সব জেনে বুঝে শুনেও তামশা করেন ? জনগনের সাথে মষ্করা করাই কি তাদের কাজ ?
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, যারা প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন তারা যুক্তি দিতে পারেন রিকশা তো চলবে। কিন্তু, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন যাত্রাবাড়ি থেকে পল্টন বা মতিঝিল রিকশা ভাড়া কত? আর সাধারন মানুষের আয় কত ? সাধারন ও নি¤œ আয়ের মানুষরা যদি দিনে ১৫০/২০০ টাকা রিকশা ভাড়াই দেন তাহলে তারা চাল কিনবে কি দিয়ে, সংসারের অন্যান্য খরচ কিভাবে মিটাবে?
তারা বলেন, সবার আগে প্রয়োজন শতভাগ মাস্ক পড়া নিশ্চিত করা। সরকারকে মনে রাখতে হবে, ঘরে খাবার না থাকলে, বাচ্চা দুধের জন্য কাঁদলে লকডাউন, শাটডাউন দিয়ে কিছুই হবে না। মানুষ ঘরের বাইরে যাবেই। দু:খজনক হলেও সত্য যে, করোনার এই ভয়াবহতা মোকাবেলা করতে সরকার আজ পর্যন্ত কোন কার্যকরী এবং জনবান্ধব পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বার বার। তাদের সকল সিদ্ধান্ত হঠকারিতা আর সমন্বয়হীনতা। সকালে এক ঘোষণা তো বিকালে আরেক। রাজনীতিবিদ আর জনপ্রতিনিধিদের দূরে রেখে আমলা দিয়ে দেশ পরিচালনার ফলেই এই অবস্থা। এই সর্বগ্রাসী যুদ্ধটা স্বার্থপর, জনবিচ্ছিন্ন আমলাদের দিয়ে মোকাবিলা করা বা জয় করা কোনোভাবেই সম্ভব না। সরকার যত দ্রুত এই সত্যিটা অনুধাবন করবে ততই মঙ্গল।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

আরও দেখুন

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত

ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

Update Time : 11:11:59 pm, Monday, 28 June 2021
নিম্নবিত্ত মানুষের জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের নিশ্চয়তা না থাকেলে সরকার ঘোষিত লকডাউন বা কঠোর লকডাউন কোনটাই কার্যকর হবে না। জনগনকে ঘরবন্দি করার আগে দরকার খাদ্যের নিশ্চয়তা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছেন, প্রান্তিক মানুষদের খুবই সমস্যা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের ক্ষুধা দূর করা না গেলে ভয় দেখিয়ে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। ক্ষুধার্ত পেট লকডাউন বোঝে না। লকডাউন সফল করতে হলে অভাবি মানুষের কাছে খাদ্য ও নগদ টাকা  পৌঁছাতে হবে।
সোমবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনার প্রথম বছরের ক্ষয়ক্ষতি এখনও সাধারন মানুষ সামলে উঠতে পারে নাই। এর মধ্যে দ্বীতিয় ঠেউ সাধারন মানুষকে অসহায় করে তুলেছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে সাধারন মানুষ। নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এ সময়টায় চলা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষেও কিন্তু সবার জন্য খাদ্যের যোগান দেওয়া কোন ব্যবস্থা হয়েছে বলে কারো জানা নাই। তবে, লকডাউন কার্যকর করতে হলে খেটে খাওয়া দিনমজুর, বাসের হেলপার, রিকশাওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের সহায়তা দিতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, লকডাউন ঘোষনার মধ্যে আবার কলকারখানা, গার্মেন্টস, সরকারি বেসরকারি সব অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ। এর চেয়ে অমানবিকতা, নির্মমতা আর কি হতে পারে? যারা এই ঘোষণা দিয়েছে তারা না হয় ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েন। কিন্তু, গার্মেন্টস কর্মী, কারখানার শ্রমিক, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী তারা যাওয়া আসা করবে কিভাবে ? সরকার মুলত কারখানা, গার্মেন্টস মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সব খোলা রাখছেন, কিন্তু শ্রমিকদের বুকে লাথি মেরে।
তারা আরো বলেন, মালিকরা ঠিকই গাড়ি চড়ে গিয়ে কোন শ্রমিক সময়মত কাজে যোগ দেয়নি তার হিসেব করে বেতন কাটা শুরু করবে। আর চাকরি বাচানোর দায়ে শ্রমিকরা পায়ে হেটে, ঘরভাড়ার টাকা থেকে কয়েকগুন বেশী রিক্সা ভাড়ায় কারখানায় যোগ দিবে। জনমনে প্রশ্ন যারা এসব প্রজ্ঞাপন লিখেন তারা কি আসলে মানুষের কথা ভাবেন ? তারা কি এসব বুঝেন না ? নাকি সব জেনে বুঝে শুনেও তামশা করেন ? জনগনের সাথে মষ্করা করাই কি তাদের কাজ ?
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, যারা প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন তারা যুক্তি দিতে পারেন রিকশা তো চলবে। কিন্তু, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন যাত্রাবাড়ি থেকে পল্টন বা মতিঝিল রিকশা ভাড়া কত? আর সাধারন মানুষের আয় কত ? সাধারন ও নি¤œ আয়ের মানুষরা যদি দিনে ১৫০/২০০ টাকা রিকশা ভাড়াই দেন তাহলে তারা চাল কিনবে কি দিয়ে, সংসারের অন্যান্য খরচ কিভাবে মিটাবে?
তারা বলেন, সবার আগে প্রয়োজন শতভাগ মাস্ক পড়া নিশ্চিত করা। সরকারকে মনে রাখতে হবে, ঘরে খাবার না থাকলে, বাচ্চা দুধের জন্য কাঁদলে লকডাউন, শাটডাউন দিয়ে কিছুই হবে না। মানুষ ঘরের বাইরে যাবেই। দু:খজনক হলেও সত্য যে, করোনার এই ভয়াবহতা মোকাবেলা করতে সরকার আজ পর্যন্ত কোন কার্যকরী এবং জনবান্ধব পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বার বার। তাদের সকল সিদ্ধান্ত হঠকারিতা আর সমন্বয়হীনতা। সকালে এক ঘোষণা তো বিকালে আরেক। রাজনীতিবিদ আর জনপ্রতিনিধিদের দূরে রেখে আমলা দিয়ে দেশ পরিচালনার ফলেই এই অবস্থা। এই সর্বগ্রাসী যুদ্ধটা স্বার্থপর, জনবিচ্ছিন্ন আমলাদের দিয়ে মোকাবিলা করা বা জয় করা কোনোভাবেই সম্ভব না। সরকার যত দ্রুত এই সত্যিটা অনুধাবন করবে ততই মঙ্গল।