
তালাত মাহামুদ জেলা প্রতিনিধি
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচড়ে পড়েছে ভ‚মি অফিসে নায়েব ও তার পালিত দালাল চক্র। গত সোমবার দিন তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে আতঙ্ক চলে আছে। চড়িগড়ি করে তাদের এই কুকির্তি দামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা উঠে পড়ে লাগে। তারা ইত্যিমধ্যে কয়েকজনের টাকাও ফেরত দেওয়ার তথ্য বিসস্ত মাধ্যমে জানা যায়।
এবিষয়ে ভুক্তভোগি কারিমা সংবাদ কর্মী রুদ্রকে জানান যে, নায়েব ফয়েজ আহমেদ ও তার পালিত দালাল জাহিদ তার অফিসে বসে আমার কাছ থেকে দুইটি জমি খারিজ বাবদ ৫০ হাজার টাকা নেয়। ইতিপূর্বে আমাকে ১টি খারিজ সম্পূর্ণ করে দিলেও অপরটি র্দীঘ তিন মাস যাবৎ ঘুরাচ্ছে এবং তারা আমার কাছে আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করছে। তারা জানার তাদের আরোও ২০ হাজার টাকা না দিলে আমার খারিজ সম্পূর্ণ হবে না। আপনারা তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার পর গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দালাল জাহিদ আমার বাড়িতে এসে ১৫ হাজার টাকা আমাকে ফেরত দিতে চায় এবং আমি যেনো কোথাও অভিযোগ না করি সে বিষয়ে অবগত করে কিন্তু আমি তার দেওয়া ১৫ হাজার টাকা ফেরত রাখি নাই। এই দালাল জাহিদ বিববা ও অসহায় নারী পেলে তাদের কুপ্রস্তাব দেয় এবং সে ইয়াবা সেবন করে।
এবিষয়ে চারাবাগ এলাকার বাসিন্দা মোঃ জয়নাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এই মরজাল ভ‚মি অফিসে যেদিন থেকে ফয়েজ আহমেদ নায়েব হিসেবে যোগদান করেন তারপর থেকে সরকারি ফি থেকে দশ গুন বেশি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পর তারা জমির কাগজ খারিজ করে যাচ্ছেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে তারা কাজ করে না, বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখিয়ে বাতিল করে দেয়। নায়েব ফয়েজ আহমেদ ও দালাল জাহিদ এই ভ‚মি অফিস এর মাধ্যমে গ্রাহকদের হয়রানি করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে পকেট ভারী করে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে দালাল জাহিদ সংবাদ কর্মী রুদ্রকে ম্যানেজ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল খাটাচ্ছেন। অথচ তার নিকট অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে যে টাকা আমি তুলি এই টাকার তিন ভাগ নেয় আমার স্যার (নায়েব ফয়েজ আহমেদ) এবং বাকি এক ভাগ আমি রাখি। এই অফিসে আমি ছাড়াও অনেক লোক আছে নায়েব স্যারের, আমি যদি মাঠ পর্যায়ে কাজ নাও করি উনার অন্য লোকের অভাব নাই, আপনারা আমার পিছনে শুধু একা রিপোর্ট করছেন কেনো। গতকালকে এক মহিলাকে ১৫ হাজার ফেরত দেওয়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশ সরকার ভূমির নামজারির ফি ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও নায়েব ফয়েজ আহমেদ তার নিজ ইচ্ছা মতো এই টাকার হার নির্ধারণ করেন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে মরজাল ভ‚মি অফিসের নায়েব ফয়েজ আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান জাহিদকে তিনদিন আগে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঘুষ ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে আগামী ছয় পর্বে তুলে ধরা হবে বিস্তারিত আরো তথ্য…
এবিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংবাদ কর্মী রুদ্রকে মোবাইল ফোনে জানান, এই বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। এই বিষয়ে আমার কাছে এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ আসে নাই। যেহেতু আপনারা সংবাদ কর্মীরা এবিষয়ে আমাকে অবগত করেছেন তাই আমি বিষয়টি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।