
এমডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে গভীর নলকূপের পানি দ্বারা এক ভুক্তভোগীর ৩৬ শতাংশ আলুর ক্ষেত নষ্ট। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,কৃষি অফিসার,থানা ও দিওড় ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর অভিযোগ করেন। সরজমিনে জানা যায়,আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিরামপুর উপজেলার৪নং দিওড় ইউনিয়নের বিজুল গ্রামের মৃত মমতাজ আলীর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমানের আবাদকৃত ৩৬ শতাংশ জমির আলুর আবাদ নষ্ট করেছেন স্থানীয় গভীর নলকুপের পানি। এ বিষয়ে মিজানুর রহমানবিজুল গভীর নলকূপ স্কিম ম্যানেজার ও গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটিকে বিবাদী বানিয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২রা ফেব্রুয়ারিতে একটি অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগ হয়েছে কিনা বলতে পারছিনা। প্রকৃত পক্ষে ২রা ফেব্রুয়ারীতে অভিযোগের গ্রহণ কপি ছিল। বিরামপুর থানা বরাবর ১লা ফেব্রুয়ারি অভিযোগ করে থাকি। সে ক্ষেত্রে বিরামপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানান। এ বিষয়ে একই তারিখে উপজেলা কৃষি অফিস বরাবর ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়ে উপজেলা উপ সহকারী কৃষি অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে এবং সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত প্রতিবেদন প্রদান করা হয় নাই। এ বিষয়ে দিওড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু আমি জানতে পেরেছি একই দিনে উপজেলা বরাবর অভিযোগ দিয়েছে উপজেলায় সমাধান না হইলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান,আমার ৩৬ শতক জমিতে আলু লাগানো ছিল।
গভীর নলকূপ স্কিম পরিচালনায় ছিলেন মৃত হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল মালেক মন্ডল তার অনুপস্থিতে
গভীর নলকূপ স্কীমের ভারপ্রাপ্ত দ্বায়িত্বে থাকা গভীর নলকূপ স্কীমের ভারপ্রাপ্ত দ্বায়িত্বে থাকা মোঃ মজিবার রহমান জানান কে বা কাহারা এ কাজ করেছেন তাহা কেহ জানেন না। তিনি জানান এ পর্যন্ত নির্বাহী অফিসার কোন ব্যবস্হা গ্রহণ করেন নাই। ভুক্তভোগী আরও জানান,গভীর নলকূপ স্কীম কমিটির পক্ষে যারা দ্বায়িত্বে রয়েছেন তারা হিংসা করে আমার আলুর আবাদের ফসলের ক্লাস সাধন করেছেন। এতে করে আমার অপূরনীয় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মত ক্ষতি করেছেন। অনেক দিন যাবত এভাবেই আমার জমি পড়ে আছে বোরো ধানের চালা লাগাতে পারছিনা। প্রকৃত পক্ষে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি অসহায় অবস্থায় রয়েছি। এ বিষয়ে আমি অর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি বলে জানান।