Dhaka 9:49 am, Sunday, 20 April 2025
সর্বশেষঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই শিক্ষকের জমকালো আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কবি আসাদ উল্লাহর কবিতা – জানে না বাউল উদাসী সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালিহাতীতে চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শাহীন সিদ্দিকী গংদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন সরকারি গাড়িতে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ইউএনও’কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কক্সবাজার – মহেশখালী নৌ রুটে প্রথমবার চালু টেকনাফ সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের অফিসে আগুন শিবালয়ে জাফরগঞ্জ পোষ্ট অফিস ভবন পুনঃস্থাপন চায় এলাকাবাসী

রংপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কারাগারে

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর।

মাদক ব্যবসা করে রংপুর অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে আদালত।সোমবার (১৭ মার্চ) ‍দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরের বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির এর আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ৭ মার্চ মাদক ব্যবসা করে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের দায়ে দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। সেই মামলায় মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।মামলা সুত্রে জানা যায়, রংপুর-রাজশাহী বিভাগের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ২২ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ২১ নম্বর মাদকব্যবসায়ী মজনু মিয়া। তার বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক জীবনে তার দুই স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের তথ্য যাচাই বাচাই করেন এবং প্রাথমিকভাবে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পান। পরে তাকে সম্পদের তথ্য দাখিলের জন্য বলা হলে মজনু মিয়া নিজ সাক্ষরে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসেব দাখিল করেন। দাখিলকৃত সম্পদ যাচাইকালে দেখা যায়, তার স্থাবর ও স্থাবর মোট সম্পদ ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ টাকা। এরমধ্যে তার বৈধ আয় ৭ লাখ ৩৮ হাজার এবং অবৈধভাবে ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ টাকা মাদকের ব্যবসা করে তিনি আয় করেছেন। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে অনুসন্ধান করেন অবৈধ সম্পদ খোঁজ পান। এই অবৈধ আয় অজর্নের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) এর ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনেরে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলা হওয়ার পর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন রংপুর-রাজশাহী অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া। আসামী পক্ষে জামিনের আবেদন করেন এডভোকেট সন্তোষ কুমার সরকার। আর সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত, রংপুরের পাবলিক প্রসিকিউটার এ্যাড. মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার ও দুনীতি কমিশন পিপি অ্যাডভোকেট হারুন-উর-রশিদ। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

আরও দেখুন

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত

রংপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কারাগারে

Update Time : 06:29:48 pm, Monday, 17 March 2025

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর।

মাদক ব্যবসা করে রংপুর অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে আদালত।সোমবার (১৭ মার্চ) ‍দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরের বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির এর আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ৭ মার্চ মাদক ব্যবসা করে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের দায়ে দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। সেই মামলায় মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।মামলা সুত্রে জানা যায়, রংপুর-রাজশাহী বিভাগের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ২২ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ২১ নম্বর মাদকব্যবসায়ী মজনু মিয়া। তার বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক জীবনে তার দুই স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের তথ্য যাচাই বাচাই করেন এবং প্রাথমিকভাবে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পান। পরে তাকে সম্পদের তথ্য দাখিলের জন্য বলা হলে মজনু মিয়া নিজ সাক্ষরে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসেব দাখিল করেন। দাখিলকৃত সম্পদ যাচাইকালে দেখা যায়, তার স্থাবর ও স্থাবর মোট সম্পদ ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ টাকা। এরমধ্যে তার বৈধ আয় ৭ লাখ ৩৮ হাজার এবং অবৈধভাবে ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ টাকা মাদকের ব্যবসা করে তিনি আয় করেছেন। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে অনুসন্ধান করেন অবৈধ সম্পদ খোঁজ পান। এই অবৈধ আয় অজর্নের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) এর ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনেরে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলা হওয়ার পর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন রংপুর-রাজশাহী অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া। আসামী পক্ষে জামিনের আবেদন করেন এডভোকেট সন্তোষ কুমার সরকার। আর সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত, রংপুরের পাবলিক প্রসিকিউটার এ্যাড. মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার ও দুনীতি কমিশন পিপি অ্যাডভোকেট হারুন-উর-রশিদ। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।