রিপন আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের জারা জাবীন মাহবুব ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর ইন্ধনে সাধারণ ছাত্রদের ওপর শিবগঞ্জে হামলা চালায় তার পালিত পেটুয়া গুন্ডা বাহিনী। শেখ হাসিনা যাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই কাইয়ুম রেজা চৌধুরী ও তার মেয়ে জারা জাবীন মাহবুব এর ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম রানা, তোরিকুল ইসলাম, মোঃ বাবু আলী সহ আরো ৪০/৫০ জন গত ১০/৮/২০২৪ ইং তারিখে সাতরসিয়া গ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ করে ঐ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে লুটপাট করে নিয়ে যায় অনেক অসহায় মানুষের শেষ সম্বল । পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং ঘটনাস্থল থেকে ‌ বিস্ফরিত-অবিস্ফরিত ককটেল উদ্ধার করেন। এঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা হলেও কাওকে আটক করা হয়নি পরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তারা।

গত ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর চৌধুরীর, বাড়ী, অফিস , ও গুদাম ঘর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও হাতবোমা তৈরির সরঞ্জামসহ কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর লোক তোরিকুল ইসলামকে আটক করে (র‍্যাব-৫) সেসময় কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম রানা পালিয়ে যায় তোরিকুল ইসলাম, ও সাইদুল ইসলাম রানা কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর লোক ও আওয়ামী লীগের সহচর হওয়ায় তৎকালীন সময়ে জারা জাবীন মাহবুব ও কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর ইসারায় কিছু দিনের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পান তোরিকুল, এবং সাইদুল ইসলাম রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন দেন আদালত জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও অহিস্তিশীল করে তোলেন মোনাকষা বাসীকে, তার প্রহসনের শিকার হন স্থানীয় ব্যবসায়ী আলফাজ উদ্দিন ।

আলফাজ উদ্দিন বলেন, আমাদের ৫০০ জন মৎস্য জীবির মোট দশ কোটি, একাত্তর লাখ ,দুইশত, বারো, টাকায় সাত রসিয়া গ্রামের কুমিরাদহ বিল লিজ গ্রহণ করি । কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর লিজ দেওয়া কুমিরাদহ বিল হইতে আমাদের ৫০০জন মৎস্যজীবী কে উচ্ছেদ করার জন্য চৌধুরী ও তার মেয়ের গুন্ডা বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ককটেল হাত বোমা ফটাইয়া কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বার আক্রমণ করে। উক্ত আক্রমণে তাদের বাহিনী কমপক্ষে ২৫০ থেকে ৩০০ ককটেল ও হাত বোমা ফাটায়। পুলিশ ও আর্মি ঘটনার সময় এসে ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ও অবিস্ফোরিত কমপক্ষে ১০০ থেকে ১৫০ টা হাত বোমা ও ককটেল উদ্ধার করে। তৎকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিবগঞ্জ থানায় আমাদের মামলা এজাহার গ্রহণ না করে, উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মোট সাতটা মিথ্যা দেন। ওই মামলায় আমাদের জেল হাজত খাটতে হয়। শিবগঞ্জ থানা আমাদের মামলা গ্রহণ না করায় আমি কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। কোর্টে কাইয়ুম রেজা চৌধুরী ও তার মেয়ে যারা জামিন মাহবুব ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলা গুলো শিবগঞ্জ থানাকে তদন্তের নির্দেশ না দিয়ে সিআইডি, ডিবি ও পিবিআইকে তদন্তভার প্রদান করেন । কাইয়ুম রেজা চৌধুরী ও তার মেয়ের তদবিরে আমার করা মামলা গুলো আজও আলোর মুখ দেখে নাই,।

এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন প্রশাসন অনড় অবস্থানে রয়েছে , গত ১০/৮/২০২৪ ইং কুমিরাদহ বিলে ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । যেকোন পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।