Dhaka 1:38 pm, Sunday, 20 April 2025
সর্বশেষঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই শিক্ষকের জমকালো আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কবি আসাদ উল্লাহর কবিতা – জানে না বাউল উদাসী সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালিহাতীতে চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শাহীন সিদ্দিকী গংদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন সরকারি গাড়িতে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ইউএনও’কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কক্সবাজার – মহেশখালী নৌ রুটে প্রথমবার চালু টেকনাফ সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের অফিসে আগুন শিবালয়ে জাফরগঞ্জ পোষ্ট অফিস ভবন পুনঃস্থাপন চায় এলাকাবাসী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমে উঠেছে ইদের কেনাকাটা

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:51:30 pm, Monday, 24 March 2025
  • 29 Time View

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিপনী বিতান ও ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। জেলা শহরের নিউমার্কেট, শহীদ সাটু হল মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, পুরাতন বাজার, ডিসি মার্কেটসহ জেলার সকল বিপণি বিতানগুলোয় চলছে ঈদের কেনাকাটা।

মেয়েদের শাড়ি, টু-পিস, থ্রি-পিস, বোরখা, ছোটদের পোশাক, জুতা স্যান্ডেল, প্রসাধনীর দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে বেচাকেনা। বিক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও বেচাবিক্রি ভালো। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম অনেকটাই বেশি। তারপরও পরিবারের ঈদ আনন্দের কথা ভেবে কিনতেই হচ্ছে।

রমজানের প্রথম থেকে বাজারগুলোতে কেনাকাটা আগেভাগে থেকেই শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ায় বেচাকেনা শুরু হয়েছে এবং সেই সঙ্গে কেনাকাটায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আর ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকায় দোকানীরাও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা জিন্স জাতীয় প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন, টি-সার্ট, পাঞ্জাবী ও থ্রি-পিসের।

ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলকভাবে এবারও কিছুটা দাম বাড়লেও ঈদে নতুন পোশাক কিনতে হচ্ছে। দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ল্যাহেঙ্গা, জয়পুরী/কলমকাড়ি, বুটিকস, চোষা, জিপসি, দেশীয় সূতি ও বিভিন্ন থ্রি-পিস, নাইরাকাট পোশাক। মেয়েদের বিভিন্ন ডিজাইনের ডিভাইডার, জিপসি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, লেহেঙ্গা ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত দরে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য থ্রি-পিস ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বহুল পরিচিত পোষাক ও কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, মোশারফ থ্রী পিস হাউস, মোশারফ কিডস গ্যালারি, মোশারফ জেন্টস গ্যালারি, সুতরাং গার্মেন্টস, উৎসব, রুপমস বুটিকস অ্যান্ড লেডিস কর্ণার, জুনায়েদ ফ্যাশন, মুশকান ফ্যাশন, ‘ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স’, সুমন ক্লথ স্টোর, ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড, বাঁধন ফ্যাশন, ফ্যাশন গার্মেন্টস, ‘থ্রি-পিস কালেকশন’, বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস, বিসমিল্লাহ টি-কার্ট, এক্সপোর্ট গ্যালারী, ‘মা বস্ত্র এ্যান্ড গার্মেন্টস’, আমেনা বস্ত্রালয়, রাজশাহী স্টোর, মিলন গার্মেন্টস, আমেনা ফ্যাশনসহ অন্যান্য শো-রুমে নিত্যনতুন শাড়ী ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাহারী পোশাকের সমারহ ঘটিয়েছে।

দোকানিরা বলছেন, দোকান খোলার পর থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ক্রেতারা আসছেন। তারপর ক্রেতাদের আনাগোনা কমে গেলেও আবার সন্ধ্যার পর আবার বেচাকেনা শুরু হচ্ছে। প্রায় সব পণ্যের দাম তুলনামূলক কিছুটা বেড়েছে। এরপরও সাধ্যের মধ্যে কিনছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, সময় যতই গড়াচ্ছে ভিড় ততই বাড়বে।

আশা করা যাচ্ছে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পুরোদমে কেনাকাটা আরও জমে উঠবে। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল কার্যক্রম। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা বাড়িয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Shahin Shahin

আরও দেখুন

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমে উঠেছে ইদের কেনাকাটা

Update Time : 06:51:30 pm, Monday, 24 March 2025

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিপনী বিতান ও ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। জেলা শহরের নিউমার্কেট, শহীদ সাটু হল মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, পুরাতন বাজার, ডিসি মার্কেটসহ জেলার সকল বিপণি বিতানগুলোয় চলছে ঈদের কেনাকাটা।

মেয়েদের শাড়ি, টু-পিস, থ্রি-পিস, বোরখা, ছোটদের পোশাক, জুতা স্যান্ডেল, প্রসাধনীর দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে বেচাকেনা। বিক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও বেচাবিক্রি ভালো। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম অনেকটাই বেশি। তারপরও পরিবারের ঈদ আনন্দের কথা ভেবে কিনতেই হচ্ছে।

রমজানের প্রথম থেকে বাজারগুলোতে কেনাকাটা আগেভাগে থেকেই শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ায় বেচাকেনা শুরু হয়েছে এবং সেই সঙ্গে কেনাকাটায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আর ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকায় দোকানীরাও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা জিন্স জাতীয় প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন, টি-সার্ট, পাঞ্জাবী ও থ্রি-পিসের।

ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলকভাবে এবারও কিছুটা দাম বাড়লেও ঈদে নতুন পোশাক কিনতে হচ্ছে। দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ল্যাহেঙ্গা, জয়পুরী/কলমকাড়ি, বুটিকস, চোষা, জিপসি, দেশীয় সূতি ও বিভিন্ন থ্রি-পিস, নাইরাকাট পোশাক। মেয়েদের বিভিন্ন ডিজাইনের ডিভাইডার, জিপসি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, লেহেঙ্গা ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত দরে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য থ্রি-পিস ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বহুল পরিচিত পোষাক ও কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, মোশারফ থ্রী পিস হাউস, মোশারফ কিডস গ্যালারি, মোশারফ জেন্টস গ্যালারি, সুতরাং গার্মেন্টস, উৎসব, রুপমস বুটিকস অ্যান্ড লেডিস কর্ণার, জুনায়েদ ফ্যাশন, মুশকান ফ্যাশন, ‘ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স’, সুমন ক্লথ স্টোর, ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড, বাঁধন ফ্যাশন, ফ্যাশন গার্মেন্টস, ‘থ্রি-পিস কালেকশন’, বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস, বিসমিল্লাহ টি-কার্ট, এক্সপোর্ট গ্যালারী, ‘মা বস্ত্র এ্যান্ড গার্মেন্টস’, আমেনা বস্ত্রালয়, রাজশাহী স্টোর, মিলন গার্মেন্টস, আমেনা ফ্যাশনসহ অন্যান্য শো-রুমে নিত্যনতুন শাড়ী ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাহারী পোশাকের সমারহ ঘটিয়েছে।

দোকানিরা বলছেন, দোকান খোলার পর থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ক্রেতারা আসছেন। তারপর ক্রেতাদের আনাগোনা কমে গেলেও আবার সন্ধ্যার পর আবার বেচাকেনা শুরু হচ্ছে। প্রায় সব পণ্যের দাম তুলনামূলক কিছুটা বেড়েছে। এরপরও সাধ্যের মধ্যে কিনছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, সময় যতই গড়াচ্ছে ভিড় ততই বাড়বে।

আশা করা যাচ্ছে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পুরোদমে কেনাকাটা আরও জমে উঠবে। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল কার্যক্রম। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা বাড়িয়েছে।