Dhaka 3:30 am, Sunday, 8 June 2025
সর্বশেষঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ। পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সাংবাদিক কাজলকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতী দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর উদ্যোগে বিনামূল কোরআন উপহার প্রদান করা পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা কালিহাতীতে অতর্কিত বাড়িতে হামলা, আহত ৩ — স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ সাংবাদিক সালেক আহমেদ পলাশ কে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানি মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিপি-জিপিসহ মোট ২৬ নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ,

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ-

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে পুরাতনদের। বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ- সলিসিটর সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত পত্রে এই তথ্য জানা গেছে। গত রবিবার স্বাক্ষরিত পত্রটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। পত্রে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক এই আইজীবীগণকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হলো। পত্রে উল্লেখ অনুযায়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আইজীবী মো. আবদুল ওদুদ। তিনি ১৯৮৬ সালে আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. রবিউল হক দোলন। তিনি ১৯৮৮ সালে আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। একই ট্রাইব্যুনালে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ইব্রাহিম হোসেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন- মো. ইউনুস মিয়া ফিটু, মো. ময়েজ উদ্দিন, হাসান জামিল বাবলু, আলহাজ মো. আফজাল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, ইউসুফ আলী ও আকরামুল ইসলাম। একই আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- মোল্লা হাসান শরিফ, মো. জহির জামান জনি, মো. ফরহাদ হোসেন মিলন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. তোহরুল ইসলাম ইসলাম পিন্টু, মো. শাহ আলম, মো. মাসির আলী, মো. মাসুদ রানা ও মো. আবুল কালাম আযাদ। এছাড়া জেলা জজ আদালতে সরকারি কৌসুলি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. মোসাদ্দেক হোসেন। ১৯৮১ সালে আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন তিনি। একই আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ২ জন। তারা হলেন- মো. খাইরুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিন মিয়া। এছাড়া এই আদালতে সহকারী সরকারি কৌসুলি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন- মোসা. রহিমা খাতুন, মো. মাহমুদুল ইসলাম কনক, মো. মাসিদুল ইসলাম ও নাহিদ ইবনে মিজান। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সদ্য নিয়োগ পাওয়া পিপি মো. আবদুল ওদুদ বলেন,“ পিপি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। আমি নির্ভিকচিত্তে নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করব।” ফৌজদারী আইনজ্ঞ হিসেবে তিনি বলেন, “পিপি’র দায়িত্ব মামলা তৈরী করা নয়। জেলার বিচারিক আদালতে যাঁরা রাষ্ট্রের হয়ে ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন, তাঁদের পিপি বলে। কাজেই সকল ফৌজদারী মামলার ক্ষতি হতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকব।” বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়রানির স্বীকার না হয় এবং বিচার ও আইনজীবীদের সম্মলিত প্রচেষ্টায় দ্রæত মামলার নিষ্পত্তি ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান তিনি।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিপি-জিপিসহ মোট ২৬ নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

Update Time : 07:45:58 am, Wednesday, 13 November 2024

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ,

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ-

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে পুরাতনদের। বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ- সলিসিটর সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত পত্রে এই তথ্য জানা গেছে। গত রবিবার স্বাক্ষরিত পত্রটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। পত্রে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক এই আইজীবীগণকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হলো। পত্রে উল্লেখ অনুযায়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আইজীবী মো. আবদুল ওদুদ। তিনি ১৯৮৬ সালে আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. রবিউল হক দোলন। তিনি ১৯৮৮ সালে আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। একই ট্রাইব্যুনালে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ইব্রাহিম হোসেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন- মো. ইউনুস মিয়া ফিটু, মো. ময়েজ উদ্দিন, হাসান জামিল বাবলু, আলহাজ মো. আফজাল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, ইউসুফ আলী ও আকরামুল ইসলাম। একই আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- মোল্লা হাসান শরিফ, মো. জহির জামান জনি, মো. ফরহাদ হোসেন মিলন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. তোহরুল ইসলাম ইসলাম পিন্টু, মো. শাহ আলম, মো. মাসির আলী, মো. মাসুদ রানা ও মো. আবুল কালাম আযাদ। এছাড়া জেলা জজ আদালতে সরকারি কৌসুলি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. মোসাদ্দেক হোসেন। ১৯৮১ সালে আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন তিনি। একই আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ২ জন। তারা হলেন- মো. খাইরুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিন মিয়া। এছাড়া এই আদালতে সহকারী সরকারি কৌসুলি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন- মোসা. রহিমা খাতুন, মো. মাহমুদুল ইসলাম কনক, মো. মাসিদুল ইসলাম ও নাহিদ ইবনে মিজান। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সদ্য নিয়োগ পাওয়া পিপি মো. আবদুল ওদুদ বলেন,“ পিপি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। আমি নির্ভিকচিত্তে নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করব।” ফৌজদারী আইনজ্ঞ হিসেবে তিনি বলেন, “পিপি’র দায়িত্ব মামলা তৈরী করা নয়। জেলার বিচারিক আদালতে যাঁরা রাষ্ট্রের হয়ে ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন, তাঁদের পিপি বলে। কাজেই সকল ফৌজদারী মামলার ক্ষতি হতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকব।” বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়রানির স্বীকার না হয় এবং বিচার ও আইনজীবীদের সম্মলিত প্রচেষ্টায় দ্রæত মামলার নিষ্পত্তি ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান তিনি।”