Dhaka 2:35 am, Sunday, 8 June 2025
সর্বশেষঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ। পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সাংবাদিক কাজলকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতী দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর উদ্যোগে বিনামূল কোরআন উপহার প্রদান করা পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা কালিহাতীতে অতর্কিত বাড়িতে হামলা, আহত ৩ — স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ সাংবাদিক সালেক আহমেদ পলাশ কে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানি মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ

চাদাবাজ কাউন্সিলর আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ওয়ার্ডবাসী

এস.এম রুবেল আকন্দ,  ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক সাংসদ এবিএম আনিচ্ছুজ্জামানের আশির্বাপুষ্ট ও ছত্রছায়ায় এ কাউন্সিলর সাবেক এমপি ও মেয়রের দাপট দেখিয়ে চাদাবাজি, লুটপাট ও হয়রানি করতো প্রতিনিয়ত। ৫ই আগষ্ট এমপি আনিছ পলাতক হল থামেনি আলম কমিশনারের অত্যাচার। এসব নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানাযায়,২০২১ সালের পৌরসভার নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আলম খান। নির্বাচিত হয়েই সাবেক এমপি ও তৎকালীন পৌর মেয়র এবিএম আনিচ্ছুজ্জামানের ক্ষমতার দাপটে ও ছত্রছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অবৈধ জমি দখল, চাদাবাজি, হয়রানি থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসাসহ এমন কোন জঘন্য কাজ নেই যা করেনি এই কমিশনার। ২০২৩ সালে স্থানীয় ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সদস্য মাসুদ মিয়ার বোন তার নিজ বাড়ীতে ঘর করতে গেলে পাচঁ লক্ষ টাকা চাদাঁ চান সাবেক কাউন্সিলর আলম । তাৎক্ষণিক বিষয়টি তার সাংবাদিক ভাই মাসুদকে জানালে তিনি এসে টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার ওপর এমপির সহযোগিতায় সাবেক কাউন্সিলর আলমের নেতৃত্বে তার বাহিনী নিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালায়। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি। কিছু বলতে গেলে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পাশাপাশি মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন।
গত ৫ই আগষ্ট আওয়ামী সরকার বিদায় নেয়ার পর এমপি আনিছ ও তার দোষররা গা ঢাকা দিলেও থামেনি আলম কমিশনারের অত্যাচার। তার কাউন্সির পদ চলে গেলেও এখনো চলছে ত্রাসের রাজত্ব। ৬নং ওয়ার্ডে কেউ বাসা বাড়ি বা কোন কাজ করতে গেলে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। না দিলে পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে চলে নির্যাতন আর হয়রানি।৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, তিনি ৪০ বছর আগে কেনা তার নিজ ভুমিতে ঘরের সংস্কারের কাজ করতে গেলে আলম কমিশনার তার কাছে দশ লক্ষ টাকা দাবী করে। তিনি দিতে অস্বীকার করলে গত ২রা ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে রুহুল আমিনের ছেলেকে ডেকে নিয়ে আলম কমিশনার তার কার্যালয়ে আটক করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে। তাকে চাদা না দিয়ে ঘর করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, আলম কমিশনারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ভয়ে আতংকে কেউ কথা বলেনা। যদিও কেউ প্রতিবাদ করে তাকে ধরে নিয়ে অত্যাচার করে। আওয়ামী লীগের আমলে স্থানীয় এমপি আনিছের শেল্টারে এসব কাজ করলেও বর্তমানে এই কাউন্সিলর কিছু বিএনপির নেতার আশীর্বাদ নিয়ে এসব অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ।

চাদাবাজ কাউন্সিলর আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ওয়ার্ডবাসী

Update Time : 08:20:15 pm, Sunday, 9 February 2025

এস.এম রুবেল আকন্দ,  ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক সাংসদ এবিএম আনিচ্ছুজ্জামানের আশির্বাপুষ্ট ও ছত্রছায়ায় এ কাউন্সিলর সাবেক এমপি ও মেয়রের দাপট দেখিয়ে চাদাবাজি, লুটপাট ও হয়রানি করতো প্রতিনিয়ত। ৫ই আগষ্ট এমপি আনিছ পলাতক হল থামেনি আলম কমিশনারের অত্যাচার। এসব নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানাযায়,২০২১ সালের পৌরসভার নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আলম খান। নির্বাচিত হয়েই সাবেক এমপি ও তৎকালীন পৌর মেয়র এবিএম আনিচ্ছুজ্জামানের ক্ষমতার দাপটে ও ছত্রছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অবৈধ জমি দখল, চাদাবাজি, হয়রানি থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসাসহ এমন কোন জঘন্য কাজ নেই যা করেনি এই কমিশনার। ২০২৩ সালে স্থানীয় ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সদস্য মাসুদ মিয়ার বোন তার নিজ বাড়ীতে ঘর করতে গেলে পাচঁ লক্ষ টাকা চাদাঁ চান সাবেক কাউন্সিলর আলম । তাৎক্ষণিক বিষয়টি তার সাংবাদিক ভাই মাসুদকে জানালে তিনি এসে টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার ওপর এমপির সহযোগিতায় সাবেক কাউন্সিলর আলমের নেতৃত্বে তার বাহিনী নিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালায়। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি। কিছু বলতে গেলে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পাশাপাশি মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন।
গত ৫ই আগষ্ট আওয়ামী সরকার বিদায় নেয়ার পর এমপি আনিছ ও তার দোষররা গা ঢাকা দিলেও থামেনি আলম কমিশনারের অত্যাচার। তার কাউন্সির পদ চলে গেলেও এখনো চলছে ত্রাসের রাজত্ব। ৬নং ওয়ার্ডে কেউ বাসা বাড়ি বা কোন কাজ করতে গেলে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। না দিলে পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে চলে নির্যাতন আর হয়রানি।৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, তিনি ৪০ বছর আগে কেনা তার নিজ ভুমিতে ঘরের সংস্কারের কাজ করতে গেলে আলম কমিশনার তার কাছে দশ লক্ষ টাকা দাবী করে। তিনি দিতে অস্বীকার করলে গত ২রা ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে রুহুল আমিনের ছেলেকে ডেকে নিয়ে আলম কমিশনার তার কার্যালয়ে আটক করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে। তাকে চাদা না দিয়ে ঘর করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, আলম কমিশনারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ভয়ে আতংকে কেউ কথা বলেনা। যদিও কেউ প্রতিবাদ করে তাকে ধরে নিয়ে অত্যাচার করে। আওয়ামী লীগের আমলে স্থানীয় এমপি আনিছের শেল্টারে এসব কাজ করলেও বর্তমানে এই কাউন্সিলর কিছু বিএনপির নেতার আশীর্বাদ নিয়ে এসব অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।