Dhaka 9:28 pm, Saturday, 7 June 2025
সর্বশেষঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ। পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সাংবাদিক কাজলকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতী দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর উদ্যোগে বিনামূল কোরআন উপহার প্রদান করা পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা কালিহাতীতে অতর্কিত বাড়িতে হামলা, আহত ৩ — স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ সাংবাদিক সালেক আহমেদ পলাশ কে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানি মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ

ফরিদপুর সদরে পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে ১ কারখানায় সিসা তৈরি করছে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সাইনবোর্ড খেয়াখাটের আগে পূর্ব গদাধরডাঙ্গী পদ্মানদীর পারে স্হানীয় উকিল ফকিরের পুত্র মোঃ আবুল ফকির এর ছত্রছায়ায় অবৈধ কারখানা স্থাপন করে পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সীসা তৈরি করছে ।হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য।কারখানার দুষিত কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।সরজমিনে গিয়ে কারখানাটিতে দেখা যায় ২৮ থেকে ৩০ বছরের ১০ / ১৫ জন শ্রমিক কেউ ব্যাটারি থেকে প্লেট বের করছে, কেউ রাতে কাঠ কয়লার আগুন জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করার জন্য চুলার পাশে প্লেট সাজাচ্ছে।এই কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ১। আশিকুল ইসলাম আশিক ২।মোঃ আক্তার হোসেন।এ ব্যাপারে স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০/১২ জন লোক বলেন প্রতিদিন রাত্রি ৮:০০ ঘটিকা হইতে ভোর ৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন চুল্লিতে কাঠ কয়লার আগুনে পুরাতন ব্যাটারির প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে ,তখন আশেপাশের এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের কষ্টসাধ্য হয় ও নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।এই কারখানার ধোঁয়ার ফলে আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের নাক মুখ চোখ জ্বালা করে ,এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।আমরা এদের কাছে অসহায় কখনো জোর করে কাউকে কিছু বলতে পারি না প্রাণভয়ে কারণ এদের অনেক মাস্তান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আছে।যারা বিভিন্ন ভয় দেখায়,আমরা সাধারণ মানুষ সবসময় এদের কাছে জিম্মি ও অসহায়।এলাকাবাসী জানান কারখানাটির দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য আশেপাশের মাঠের ফসল গাছের ফল নদীর মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।এলাকাবাসী আরও জানান এই কারখানার আশপাশের জমি ও মাঠের ঘাস কেটে গবাদিপশুকেও খাওয়াতে পারছেনা পশুর মৃত্যুর ভয়ে।তারা আরও বলেন এই কারখানার আশেপাশের মাঠের ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে এই ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়িয়ে যতোদূর গিয়ে পড়বে সেই এলাকার ঘাস ও ধানের খড় খেলেই গরু মারা যাবে নিশ্চিত।এরই সুত্র ধরে গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা নিউজ ও টেলিভিশন নিউজে জানা যায়।২০২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সিসা তৈরির কারখানায় ৩ মাসে ২৫টি গরু মারা গেছে।সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।২০২৩ সালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সিসা তৈরির কারখানা কারনে ৭ গরুর মৃত্যু।সুত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর২০২৩ সালে সিসা কারখানার নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য খালে হবিগঞ্জের মাধবপুরে পানি খেয়ে ১২ গরুর মৃত্যু।সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা।২০২৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল সিসা তৈরি কারখানা এলাকার মাঠের ঘাস, লতা ও আঁখের পাতা খেয়ে ১২টি গরু মারা গেছে।সুত্রঃ বাংলাভিশন টেলিভিশন।২০২২ সালে ধামরাই সিসা তৈরি কারখানায় তিন মাসে ৮ গরুর মৃত্যু, অসুস্থ অর্ধশতাধিক।সুত্রঃ দৈনিক জনবানী২০২২ সালে নরসিংদীর বেলাবতে পাঁচ দিনে হাফিজ অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স নামের একটি খামারে একে একে পাঁচটি গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।২০২২ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সিসা তৈরি কারখানার পাশে দুটি গ্রামে ৩০টি গরুর মৃত্যু।সুত্রঃ আজকের পত্রিকা।২০২৪ সালের মার্চ মাসে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় ১২ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।সুত্রঃ Rtv ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাবুরপুকুর এলাকায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানার পাশের জমির ঘাস খেয়ে ১ গরীব কৃষকের ২ টি গরু মারা যায় পরবর্তীতে এলাবাসীর অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করে।২০২৫ সালের জানুয়ারি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ইট ভাটায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া।গুগলে সার্চ দিয়ে জানাযায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন আরও শতাধিক কারখানার কারণে গরু মারা গেছে এমন তথ্য মেলে,আরও জানাযায় দেশের যে যে এলাকায় পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানা করে সেই এলাকার মাঠের ধান নষ্ট, পুকুর ও বিলের মাছের নিধন হয়েছে।কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কিছু বলেনা?শ্রমিকরা বলেন এতে আমাদের শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়,থানা পুলিশ তেমন কিছু বলেনা কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বা এসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে কেউ জানালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ আশিকুল ইসলাম আশিক ও আক্তার হোসেন এর নিকট পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছেকিনা জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের কোনো কাগজপত্র নেই সবাইকে ম্যানেজ করেই কারখানা চালাতে হয়।আপনারা নিউজ করলে করেন সমস্যা নাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি,নিউজ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক, এসিল্যান্ড এনারাইতো আসবে দেখা যাবে নিউজ করে কি করতে পারেন।এলাকার সচেতন মহল অতি দ্রুত পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানাটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ করার জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ,ঢাকা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার,ফরিদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও সদর উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ।

ফরিদপুর সদরে পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে ১ কারখানায় সিসা তৈরি করছে।

Update Time : 06:52:39 am, Monday, 24 February 2025

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সাইনবোর্ড খেয়াখাটের আগে পূর্ব গদাধরডাঙ্গী পদ্মানদীর পারে স্হানীয় উকিল ফকিরের পুত্র মোঃ আবুল ফকির এর ছত্রছায়ায় অবৈধ কারখানা স্থাপন করে পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সীসা তৈরি করছে ।হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র্য।কারখানার দুষিত কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।সরজমিনে গিয়ে কারখানাটিতে দেখা যায় ২৮ থেকে ৩০ বছরের ১০ / ১৫ জন শ্রমিক কেউ ব্যাটারি থেকে প্লেট বের করছে, কেউ রাতে কাঠ কয়লার আগুন জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করার জন্য চুলার পাশে প্লেট সাজাচ্ছে।এই কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ১। আশিকুল ইসলাম আশিক ২।মোঃ আক্তার হোসেন।এ ব্যাপারে স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০/১২ জন লোক বলেন প্রতিদিন রাত্রি ৮:০০ ঘটিকা হইতে ভোর ৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন চুল্লিতে কাঠ কয়লার আগুনে পুরাতন ব্যাটারির প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে ,তখন আশেপাশের এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের কষ্টসাধ্য হয় ও নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।এই কারখানার ধোঁয়ার ফলে আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের নাক মুখ চোখ জ্বালা করে ,এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।আমরা এদের কাছে অসহায় কখনো জোর করে কাউকে কিছু বলতে পারি না প্রাণভয়ে কারণ এদের অনেক মাস্তান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আছে।যারা বিভিন্ন ভয় দেখায়,আমরা সাধারণ মানুষ সবসময় এদের কাছে জিম্মি ও অসহায়।এলাকাবাসী জানান কারখানাটির দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য আশেপাশের মাঠের ফসল গাছের ফল নদীর মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।এলাকাবাসী আরও জানান এই কারখানার আশপাশের জমি ও মাঠের ঘাস কেটে গবাদিপশুকেও খাওয়াতে পারছেনা পশুর মৃত্যুর ভয়ে।তারা আরও বলেন এই কারখানার আশেপাশের মাঠের ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে এই ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়িয়ে যতোদূর গিয়ে পড়বে সেই এলাকার ঘাস ও ধানের খড় খেলেই গরু মারা যাবে নিশ্চিত।এরই সুত্র ধরে গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা নিউজ ও টেলিভিশন নিউজে জানা যায়।২০২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সিসা তৈরির কারখানায় ৩ মাসে ২৫টি গরু মারা গেছে।সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।২০২৩ সালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সিসা তৈরির কারখানা কারনে ৭ গরুর মৃত্যু।সুত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর২০২৩ সালে সিসা কারখানার নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য খালে হবিগঞ্জের মাধবপুরে পানি খেয়ে ১২ গরুর মৃত্যু।সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা।২০২৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল সিসা তৈরি কারখানা এলাকার মাঠের ঘাস, লতা ও আঁখের পাতা খেয়ে ১২টি গরু মারা গেছে।সুত্রঃ বাংলাভিশন টেলিভিশন।২০২২ সালে ধামরাই সিসা তৈরি কারখানায় তিন মাসে ৮ গরুর মৃত্যু, অসুস্থ অর্ধশতাধিক।সুত্রঃ দৈনিক জনবানী২০২২ সালে নরসিংদীর বেলাবতে পাঁচ দিনে হাফিজ অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স নামের একটি খামারে একে একে পাঁচটি গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।২০২২ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সিসা তৈরি কারখানার পাশে দুটি গ্রামে ৩০টি গরুর মৃত্যু।সুত্রঃ আজকের পত্রিকা।২০২৪ সালের মার্চ মাসে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় ১২ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।সুত্রঃ Rtv ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাবুরপুকুর এলাকায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানার পাশের জমির ঘাস খেয়ে ১ গরীব কৃষকের ২ টি গরু মারা যায় পরবর্তীতে এলাবাসীর অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করে।২০২৫ সালের জানুয়ারি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ইট ভাটায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া।গুগলে সার্চ দিয়ে জানাযায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন আরও শতাধিক কারখানার কারণে গরু মারা গেছে এমন তথ্য মেলে,আরও জানাযায় দেশের যে যে এলাকায় পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানা করে সেই এলাকার মাঠের ধান নষ্ট, পুকুর ও বিলের মাছের নিধন হয়েছে।কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কিছু বলেনা?শ্রমিকরা বলেন এতে আমাদের শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়,থানা পুলিশ তেমন কিছু বলেনা কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বা এসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে কেউ জানালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ আশিকুল ইসলাম আশিক ও আক্তার হোসেন এর নিকট পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছেকিনা জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের কোনো কাগজপত্র নেই সবাইকে ম্যানেজ করেই কারখানা চালাতে হয়।আপনারা নিউজ করলে করেন সমস্যা নাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি,নিউজ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক, এসিল্যান্ড এনারাইতো আসবে দেখা যাবে নিউজ করে কি করতে পারেন।এলাকার সচেতন মহল অতি দ্রুত পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানাটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ করার জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ,ঢাকা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার,ফরিদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও সদর উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন।