এমডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুরে সুদখোর মহাজনের জালে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার। আজ ২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার দাদন ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। আধুনিক যুগে এসেও দিনাজপুর বিরামপুরে চলছে সুদখোর মহাজনের রমরমা দাদন ব্যবসা। চড়া সুদের জালে বন্দি হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন নিম্ন আয়ের শতাধিক পরিবারের মানুষ। দাদনের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে ঘরের আসবাবপত্র গরু,ছাগল ও ভ্যান রিকশা নিয়ে যায় মহাজন। স্কুল কলেজের শিক্ষকরা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরাও রেহায় পায়নি তার হাত থেকে। সুদের টাকা দিতে না পারলে এনায়েতউল্লাহ বুলু টাকা গ্রহণকারীদের কে মারধর ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ-র পাশাপাশি মোবাইল ফোনে হুমকি ও মিথ্যা মামলার হয়রানী স্বীকার ও ভিটেমাটি ছেড়ে পরিবার নিয়ে পালিয়েছে বেশ কিছু পরিবার।এবিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ,বিশেষ করে এলাকার শহর গ্রামের অধিকাংশ মানুষই নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। জীবিকার প্রয়োজনে দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তাদের চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়। তবে ঋণের টাকায় যে আয় হয় তার প্রায় সবটাই চলে যায় দাদন ব্যবসায়ীর পকেটে। গ্রাম ও শহরের সহজ-সরল খেটে খাওয়া শতাধিক মানুষ বিভিন্ন অংকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করেন স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,সুদের ১ লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে সুদ দিতে হয়। বছরে লাভ দিতে হয় ৭২ হাজার টাকা। সময় মতো লাভের টাকা না দিতে পারলে সূদী মহাজন মোবাইলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করে থাকেন।সুদীমহাজন সুদের টাকা দৈনিক সাপ্তাহিক ও মাসে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ প্রদানের সময় ৩শত টাকার ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও স্বাক্ষর কৃত ফাঁকা ব্যাংক চেক দিতে হয়। সাপ্তাহিক ও মাসে সুদের টাকা দিতে না পারলে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে সুদের টাকা। পূর্ব জগন্নাথ পুর মহল্লার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মমিনুর রশিদ,খিয়ার দুর্গাপুর মহল্লার তুমি যদিনের ছেলে মোহাম্মদ আল রাব্বি,পূর্ব জগন্নাথপুর মহল্লার পিতা-মৃত্যু আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ সানাউল্লাহ সহ আরো অজ্ঞাত অনেক ব্যক্তি উপজেলার কুন্দন গ্রামের মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন খানের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।এরই ফলে গ্রহনকৃত সুদের টাকা বৃদ্ধিতে দ্বিগুণ হয়ে গেলে ভুক্তভোগীগণ পড়ে যায় ভয়ঙ্কর বেড়াজালে। এবিষয়ে এলাকার বেশ কিছু ভুক্তভোগী বিরামপুর থানায় অভিযোগকরেন। অসহ্য যন্ত্রণা অত্যাচার হুমকির ফলে এলাকার ভুক্তভোগীগণ বিরামপুর থানার অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল ইসলাম জানান অভিযোগ হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ শিমুল পারভেজ, সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ মোমিন ইসলাম,
নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ রিপন আলী, বার্তা সম্পাদকঃ মোসাঃ তাসলিমা খাতুন (সালমা)
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীন
🔴জিমেইলঃ [email protected]
☎️ মোবাইলঃ ০১৭৮০-০০৩৬৭ ৮
♦️সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে ♦️
All rights reserved © 2024 dailysadhinbangladesh24