অজিত দাস, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানাধীন ভেড়ীগাঁও সাকিনস্থ মরহুম ইরন মিয়ার ছেলে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার জেলা শাখার উপদেষ্টা পর্তুগাল প্রবাসী মো: হোছন মিয়া(৫০) বিগত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪খ্রি; তারিখ পর্তুগাল হতে ছুটিতে দেশে আসে। সে সময় একই সাকিনস্থ তাদের প্রতিবেশী মখন মিয়া(৪৮), পিতা- মৃত তুতি মিয়া মো: হোছন মিয়ার নিকট কর্জ বাবদ ৩৷ লক্ষ টাকা দাবি করলে তিনি তাকে তার কাছে টাকা নেই বলে জানালে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ তৈরী হয়। এই নিয়ে গত ০৪ মার্চ ২০২৪খ্রি; তারিখ রাত আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকার সময় মখন মিয়া তার গোষ্ঠীর আকলু মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম, তখলিছ মিয়ার ছেলে হাকিম, হারুন মিয়ার ছেলে নাইম এবং মখন মিয়ার ছেলে মামুন, মাছুমকে নিয়ে প্রবাসী মো: হোছন মিয়ার বসতঘরে প্রবেশ করে তার মা, স্ত্রী, ০৩ সন্তানের সামনে নির্মমভাবে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে বসতঘরের ড্রয়ার হতে নগদ টাকা, ২৬০০ ইউরোসহ আনুমানিক ৬.৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্তে প্রবাসী মো: হোছন মিয়ার বৃদ্ধা মা আকতারুন বেগম-এর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনগর থানার মামলা নং- ১০, জিআর- ৩১, তারিখ- ১৩ মার্চ ২০২৩খ্রি; ধারা- 143/448/323/324/326/307/ 380/506/114/34 The Penal Code রুজু হলে মামলাটি তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় এক সপ্তাহ পূর্বে রাজনগর থানা পুলিশ প্রবাসী মো: হোছন মিয়া বাড়িতে গিয়ে জানায়, গত ২৩ ফ্রেবুয়ারি ২০২৫খ্রি; তারিখ উল্লেখিত মামলায় হাজিরা দিয়ে আসামীগণ বাড়ি ফেরার পথে গোবিন্দবাটি প্রেট্রোল পাম্পের সামনে প্রবাসী মো: হোছন মিয়ার স্ত্রীসহ তার অসুস্থ বড় ভাই সজ্জাদ মিয়া, বোন জামাই মাস্টার জামাল মিয়া এবং বৃদ্ধা মাতা আক্তারুন বেগম আসামীদের সিএনজি গাড়ী আটকে তাদেরকে মারধর করেছে, এই সংক্রান্তে আকলু মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযান করেন। ঘটনার বিষয়ে প্রবাসী মো: হোছন মিয়া জানান ঘটনা সম্পর্কে আমি এবং আমার পরিবার কিছুই জানিনা। আমি ০১ বছর পূর্বে ছুটিতে বাড়িতে থাকাবস্থায় ওরা আমার ঘরে এসে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল, আমাকে সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করেছে। আমি অসুস্থ্য অবস্থায় দেশ থেকে পালিয়ে এসেছি।
ভ্যারী গাও এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি মো: শিষ মিয়ার সাথে গঠনা সম্পর্কে জানতে মোটা ফোনে বলেন, হোচনের পরিবারের উপরে অভিযোগ কারীরা মৌলভীবাজার কোর্টে হাজিরা দিয়ে আসার সময় রাস্তায় মারামারি হয়েছে তারা মাইর কাইছে জখম হয়েছে এটি সত্য কিন্তু কে বা কারা হামলা করছে এটি স্পষ্ট নয়। অভিযোগ কারীরা অভিযোগ করছে প্রবাসী হোচনের মা,ভাই, স্ত্রী, ভায়রা মিলে তাদের উপর হামলা করছে কিন্তু গঠনার সময় হোচনের বয়স্ক মা, বয়স্ক ভাই ও তাহার স্ত্রী সবাই সারাদিন বাড়িতে ছিলেন আমি নিজে তাদেরকে বাড়িতে দেখেছি। আমি সহ গ্রামের সবাই জানে হোচনের পরিবার এ হামলায় জড়িত নয়। সম্ভবত গঠনা অন্য কিছু হতে পারে। হোচনের পরিবারের সাথে অভিযোগ কারীর সাবেক মামলা থাকায় পরিকল্পিতভাবে হুচনের পরিবারকে হয়রানি করা হতে পারে।
ভ্যারী গাও এলাকার লিলু মিয়া বলেন - হোচন মিয়া প্রায় একবছর যাবৎ পর্তুগালে বসবাস করতেছেন।
হোচনের পরিবারের বিরুদ্ধে কোর্টে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এটি সম্পূর্ণভাবে বানোয়াট মিথ্যা অভিযোগ। ঐ দিন আমি হোচন মিয়ার পরিবারের সবাইকে বাড়িতে দেখেছি এসব বৃদ্ধ মহিলা পুরুষরা এসব হামলায় জড়িত থাকবে কেউ বিশ্বাস করবেনা। উনার বড় ভাই টিকমতো হাটতে পারেননা, উনার বৃদ্ধ মা সম্পর্কে কি আর বলবো, উনার স্ত্রী ঘর থেকে বের হননা। অভিযোগ কারীদের উপর হামলা হয়েছে এটি সত্য যারা হামলায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। পরিকল্পিত ভাবে একটি পরিবারকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করা ঠিক নায়।
একি গ্রামের মোঃ আব্দুস শহীদ জানান, গত বছর হোচন মিয়া পর্তুগাল থেকে দেশে আসলে তাদেরই চাচাতো ভাইদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়া ঝগড়া বিবাদ লেগে তাকে। এক পর্যায়ে সন্ধ্যারপর হোচন মিয়ার উপর সবাই একত্রিত হয়ে হামলা করে। হোচনের বুক, পিঠ, মাথা সহ দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে ১১ টি ঘা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে হোচন মিয়া মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। আমরা এলাকা বাসী কয়েকজন এসে হামলাকারীদের উপর রাগান্বিত হয়ে হোচন মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। হামলার সময় হোচন মিয়ার ঘর লুটপাট করা হয় এটি শুনেছি।
প্রায় একবছর পর গত কয়দিন আগে হোচন মিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে কোর্টে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে প্রতিপক্ষের উপর যে হামলা হয়েছে হোচন মিয়ার পরিবার নাকি জড়িত, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। হোচন মিয়ার পরিবারে কোন পুরুষ ব্যক্তি নেই সবাই প্রবাসে। তাদের উপর হামলা হয়েছে এটি সত্য যারা হামলা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক এটি আমাদের গ্রামবাসীর দাবী। যারা হামলায় জড়িত নয় তাদের যেন হয়রানি না করা হয়।
হুচন মিয়ার মায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের সকল সদস্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। তারা আমাদের পরিবারের উপর হামলা করার পায়তারা করতেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ শিমুল পারভেজ, সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ মোমিন ইসলাম,
নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ রিপন আলী, বার্তা সম্পাদকঃ মোসাঃ তাসলিমা খাতুন (সালমা)
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীন
🔴জিমেইলঃ [email protected]
☎️ মোবাইলঃ ০১৭৮০-০০৩৬৭ ৮
♦️সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে ♦️
All rights reserved © 2024 dailysadhinbangladesh24