Dhaka 1:09 am, Sunday, 8 June 2025
সর্বশেষঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ। পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সাংবাদিক কাজলকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতী দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর উদ্যোগে বিনামূল কোরআন উপহার প্রদান করা পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা কালিহাতীতে অতর্কিত বাড়িতে হামলা, আহত ৩ — স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ সাংবাদিক সালেক আহমেদ পলাশ কে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানি মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ

রাজাপুরে “সফল” কলা চাষি শামীম হায়দার “তৈরী করছেন উদ্দ্যোক্তা”

 

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি থেকে:-

ঝালকাঠি জেলাধীন রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহি ডাক্তার বাড়ির মরহুম আব্দুল খালেক মিয়া ও মনোয়ারা খালেক দম্পতির পুত্র মোঃ শামীম হায়দার। বর্তমানে কৃষি উদ্দ্যোক্তা হিসেবে ৩ টি প্লটে ০১ একর ২৬ শতাংশ পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় কলা চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এলাকাসহ উপজেলা ও জেলা কৃষি বিভাগে, পাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও সরকারী সুবিধাদি। শামীম হায়দার (বিএ/বিএসএস) পাস করে একটি বেসরকারি স্কুলে বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করে আসছিলেন, কিন্তু নিজে কিছু করার ভাবনা থেকে-ই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে ইং ২০০৮ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা পুজি নিয়ে দেশীয় প্রজাতির কলা চাষ শুরু করেন। বর্তমানে শামীম হায়দার একজন দক্ষ কৃষি খামারি ও সফল উদ্দ্যোক্তা। এছাড়াও এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষি উৎপাদন উদ্দ্যোক্তাদের স্বেচ্ছায় পরামর্শ দিচ্ছেন কলা চাষসহ বিভিন্ন প্রজাতির কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য। চাষাবাদ কৌশলও শিখিয়ে দিচ্ছেন অনেককে। এমতাবস্থায় শামীম কর্তৃক সৃষ্ট “বড়ইয়া কৃষি খামার” নামক কৃষি প্রকল্প দিয়ে খরচ বাদে বার্ষিক আয় করছেন প্রায় “আড়াই লক্ষ টাকা”। এছাড়াও নিজে লাভবানের পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কিছু বেকার মানুষের কর্ম করার সুযোগও সৃষ্টি করেছেন শামীম। ইতোমধ্যে দক্ষ কৃষক হিসেবে রাজাপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে কৃষি অফিসার শাহিদা শারমিন আফরোজ-এর নজর কেড়ে নিয়েছে দক্ষ চাষি ও কৃষি উদ্দ্যোক্তা শামীম। এমতাবস্থায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাচ্ছেন সকল প্রকার পরামর্শসহ সরকারী সুবিধাদি। বর্তমানে শামীম প্রকল্পের পরিধি আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছেন। এবিষেয়ে শামীম হায়দার প্রতিবেদককে জানান, আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বহুবার বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছি, এমনকি উপজেলা কৃষি অফিসার কর্তৃক দক্ষ কৃষক হিসেবে কৃষক কার্ড ও প্রত্যয়ন পত্রও পেয়েছি। বর্তমানে কৃষি পণ্য উৎপাদনে খরচ অস্বাভাবিক, সেজন্য দরকার সেচ পাম্প, সার-ঔষধ, উন্নত জাতের চারা ও পরিচর্যা, সেক্ষেত্রে সরকারী বা বেসরকারি প্রোমোদনা বা আর্থিকসহ উপকরণ সহায়তা পেলে আরো বেশী উৎপাদন করতে পারবো বলে আশা রাখি। উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমি শামীম হায়দারের তিনটি কলা বাগানেই একাধিকবার গিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি, তবে শামীম সত্যিকারে একজন দক্ষ ও ভালো চাষি, আমরা শামীম হায়দারের উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ।

রাজাপুরে “সফল” কলা চাষি শামীম হায়দার “তৈরী করছেন উদ্দ্যোক্তা”

Update Time : 02:44:47 pm, Wednesday, 12 March 2025

 

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি থেকে:-

ঝালকাঠি জেলাধীন রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহি ডাক্তার বাড়ির মরহুম আব্দুল খালেক মিয়া ও মনোয়ারা খালেক দম্পতির পুত্র মোঃ শামীম হায়দার। বর্তমানে কৃষি উদ্দ্যোক্তা হিসেবে ৩ টি প্লটে ০১ একর ২৬ শতাংশ পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় কলা চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এলাকাসহ উপজেলা ও জেলা কৃষি বিভাগে, পাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও সরকারী সুবিধাদি। শামীম হায়দার (বিএ/বিএসএস) পাস করে একটি বেসরকারি স্কুলে বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করে আসছিলেন, কিন্তু নিজে কিছু করার ভাবনা থেকে-ই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে ইং ২০০৮ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা পুজি নিয়ে দেশীয় প্রজাতির কলা চাষ শুরু করেন। বর্তমানে শামীম হায়দার একজন দক্ষ কৃষি খামারি ও সফল উদ্দ্যোক্তা। এছাড়াও এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষি উৎপাদন উদ্দ্যোক্তাদের স্বেচ্ছায় পরামর্শ দিচ্ছেন কলা চাষসহ বিভিন্ন প্রজাতির কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য। চাষাবাদ কৌশলও শিখিয়ে দিচ্ছেন অনেককে। এমতাবস্থায় শামীম কর্তৃক সৃষ্ট “বড়ইয়া কৃষি খামার” নামক কৃষি প্রকল্প দিয়ে খরচ বাদে বার্ষিক আয় করছেন প্রায় “আড়াই লক্ষ টাকা”। এছাড়াও নিজে লাভবানের পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কিছু বেকার মানুষের কর্ম করার সুযোগও সৃষ্টি করেছেন শামীম। ইতোমধ্যে দক্ষ কৃষক হিসেবে রাজাপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে কৃষি অফিসার শাহিদা শারমিন আফরোজ-এর নজর কেড়ে নিয়েছে দক্ষ চাষি ও কৃষি উদ্দ্যোক্তা শামীম। এমতাবস্থায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাচ্ছেন সকল প্রকার পরামর্শসহ সরকারী সুবিধাদি। বর্তমানে শামীম প্রকল্পের পরিধি আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছেন। এবিষেয়ে শামীম হায়দার প্রতিবেদককে জানান, আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বহুবার বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছি, এমনকি উপজেলা কৃষি অফিসার কর্তৃক দক্ষ কৃষক হিসেবে কৃষক কার্ড ও প্রত্যয়ন পত্রও পেয়েছি। বর্তমানে কৃষি পণ্য উৎপাদনে খরচ অস্বাভাবিক, সেজন্য দরকার সেচ পাম্প, সার-ঔষধ, উন্নত জাতের চারা ও পরিচর্যা, সেক্ষেত্রে সরকারী বা বেসরকারি প্রোমোদনা বা আর্থিকসহ উপকরণ সহায়তা পেলে আরো বেশী উৎপাদন করতে পারবো বলে আশা রাখি। উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমি শামীম হায়দারের তিনটি কলা বাগানেই একাধিকবার গিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি, তবে শামীম সত্যিকারে একজন দক্ষ ও ভালো চাষি, আমরা শামীম হায়দারের উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করি।