অজিত দাস,বড়লেখা (মৌলভীবাজার)প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঘমারা গ্রামের মধ্যবর্তী রাস্তায় বর্ধিত মেয়াদের প্রায় এক বছরেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেনি। প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন করা ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দের কালভার্টটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। বরং অসমাপ্ত কালভার্টটি ৪/৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চরম ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের উত্তর বাঘমারা, দক্ষিণ বাঘমারা, বারহালি, নাজির খাঁ, আমবাড়ি গ্রামের লোকজনের যাতায়াত সুবিধার্থে দাসেরবাজার-বাছিরপুর সড়কের আজিমগঞ্জ-বাড্ডা পাকা রাস্তার দক্ষিণ বাঘমারা গ্রামের ফারুকের বাড়ির সামনে খালের উপর কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের গ্রামীণ রাস্তায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দের কালভার্ট নির্মাণের টেন্ডার পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজ। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের শর্তে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও এই সময়ে তিনি অর্ধেক কাজও সম্পন্ন করেননি। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ মে পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। কিন্তু বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯ মাস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জেলা সহসভাপতি সুমন আহমদ ব্রিজের উভয়পাশে (এপ্রোচ) মাটি ভরাট, ৩০ মিটার ইটসলিং কাজ, রঙের ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন না করায় পাঁচ গ্রামের ৮/১০ হাজার মানুষের কোনো কাজেই আসছে না এই ব্রিজটি। বরং অসমাপ্ত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারি সুমন আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন মামলার কারণে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির একপাশে কিছুটা মাটি ভরাট করা হলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে দীপক দাস ও ইছহাক আলী বলেন, আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে ভোগান্তিতে আছি। প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস ও ৪/৫ গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে তাছাড়া স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অনেক সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য কোনো ছোট-বড় যানবাহন পর্যন্ত এদিকে প্রবেশ করেনা। বর্ষার সময় যাতায়াতের জন্য নৌকা আমাদের একমাত্র অবলম্বন তাই বর্ষার আগে মাটি ভরাট না করলে এলাকার ৮/১০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, গত বছরের ২৫ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্নের জন্য লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিশ প্রদানের আট মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্ত ঠিকাদার কাজ শেষ করেনি। এব্যাপারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ শিমুল পারভেজ, সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ মোমিন ইসলাম,
নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ রিপন আলী, বার্তা সম্পাদকঃ মোসাঃ তাসলিমা খাতুন (সালমা)
সহকারী বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীন
🔴জিমেইলঃ [email protected]
☎️ মোবাইলঃ ০১৭৮০-০০৩৬৭ ৮
♦️সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে ♦️
All rights reserved © 2024 dailysadhinbangladesh24