ঝালকাঠি প্রতিনিধি:- মোঃ আবুল কালাম।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দুঃসময় পার করে আসছেন।ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের আমলে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছেন। তবুও  নিবেদিতপ্রাণ নেতা এখনও তৃণমূলের পাশে থেকে তাদের সাহস ও নেতৃত্বের গুণাবলীর মাধ্যমে দলের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছিলেন তেমনি একজন হলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা  বিএনপির সাবেক- সহসভাপতি মো.জয়নাল আবেদীন। আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের ওপর একের পর এক নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। মামলা-হামলা, লুটপাট, বাড়ীতে হামলা-এসব কোনো কিছুই বাদ যায়নি জয়নাল আবেদীনের জীবন থেকে।আন্দোলন সংগ্রামে কাঁঠালিয়ার রাজপথ কাঁপানো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের লড়াকু সৈনিক জয়নাল আবেদীন একজন সাদা মনের মানুষ।কাঁঠালিয়া  থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন একজন নির্যাতিত বিএনপির ত্যাগী কর্মী।বিএনপির নিবেদিত ত্যাগী এই নেতা জয়নাল আবেদীন  সর্বশেষ কাঁঠালিয়া থানার সাবেক  সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ সময় জয়নাল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি করতে গিয়ে তিনিগত ১৬ বছরে ১০টিরও অধিক মামলা খেয়েছিলেন।এ সব মিথ্যা সাজানো মামলায় তিনি  জেলও খেটেছেন।নিরহংকারী সাদা মনের মানুষ ত্যাগী এই নেতামোঃ জয়নাল আবেদীন  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে সরাসরি রাজপথের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্র আন্দোলনকে সহযোগিতা  করেছেন।ঐসময় তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে শুকনো খাবার ও ঔষধ পানি বিতরণ করে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।এ ছাড়াও তিনি আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও বিএনপি কর্মীদেরকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।এ সময় জয়নাল আবেদীন কিছু মামলার কপি  দেখিয়ে বলেন, তার বাড়ী আ.লীগ নেতা’রা  ঘুমাতে দেয়নি, ঠিক মতো ব্যাবসা-বাণিজ্য করতে দেয়নি। এ ছাড়াও  জায়গা সম্পত্তি দখল করে লুটপাট করে খেয়েছে।বিএনপির রাজনীতি করার কারণে প্রতিবেশী হয়েও  অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি।জয়নাল আবেদীন  আরো বলেন, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় ৩ আগস্ট ২০২৪ নেতারা উপস্থিত থেকে তার অফিসে ভাঙচুর করেছে।তিনি আরো বলেন, গত ১৬ বছরের রাজনীতিতে সে কখনো কারো সাথে আপোস করে নি।জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে তিনি একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজপথে ছিলেন। একজন দায়িত্বশীল ও নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে তিনি কখনোই নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি তার স্বল্পপরিসরের জীবনকালকে দলের কল্যাণে অকাতরে ব্যয় করে গেছেন। দলের সব সংকটকালে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন।কাঁঠালিয়া  বিএনপি ও যুবদল সহ অঙ্গ সংগঠন  শক্তিশালী পরিণত করতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। বর্তমান স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জয়নাল আবেদীনের মতো নির্ভীক নেতার বড় বেশী প্রয়োাজন।