Dhaka 12:59 pm, Sunday, 20 April 2025
সর্বশেষঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই শিক্ষকের জমকালো আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কবি আসাদ উল্লাহর কবিতা – জানে না বাউল উদাসী সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালিহাতীতে চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শাহীন সিদ্দিকী গংদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন সরকারি গাড়িতে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ইউএনও’কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কক্সবাজার – মহেশখালী নৌ রুটে প্রথমবার চালু টেকনাফ সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের অফিসে আগুন শিবালয়ে জাফরগঞ্জ পোষ্ট অফিস ভবন পুনঃস্থাপন চায় এলাকাবাসী

চাল বিতরণ কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:34:32 pm, Monday, 17 March 2025
  • 32 Time View

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে চাল বিতরণ কর্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে,নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ২:৩০ দিকে গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিএনপি নেতা আনোয়ার ইসলাম গ্রুপের কর্মী মাসুদ রানা ইউপি সদস্য নূর হোসেনের কাছে ভিজিএফ কার্ড দাবি করেন। তবে নূর হোসেন জানান তার কাছে সীমিত কার্ড রয়েছে যা দিয়ে ওয়ার্ড মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাসুদ ও তার ভাই মইনুর নূর হোসেনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে। ঘটনার পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিএনপি অপর গ্রুপের সদস্য এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রশাসন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয়। গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসিন আলি শাহ্ জানান, ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২৬৫০ জনকে ১০কেজি করে চাল দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু সংঘর্ষের কারণে বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। হামলার শিকার ইউপি সদস্য নুর হোসেন বলেন, আমি কার্ডের সংখ্যা কম থাকায় মাসুদ রানাকে দিতে পারিনি, তবে তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছিলাম। তিনি ও তার ভাই আমার ওপর হামলা চালান য পরে বড় সংঘর রূপ নেই। “অন্যদিক, অভিযুক্ত মাসুদ রানা দাবি করেন, আমি কার্ড ছিলাম কিন্তু পাইনি। তবে কোন মারধরের ঘটনায় জরিত নই,শুধু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ভোলাহাট উপজেলার সভাপতি ইয়াজদানী জর্জ বলেন, নূর হোসেন বিএনপি একজন কর্মী হলেও তিনি আমার অনুসারী নন।তকে মারধরের ঘটনা শুনেছি তবে এ ধরনের সংঘর্ষ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে যারা জরিত , তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। “সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংঘর্ষে পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।সাধারণত মানুষ চাল না পেয়ে ফিরে গেছেন, যা তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং চাল বিতরণ পুনরায় শুরু করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Shahin Shahin

আরও দেখুন

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা অনুষ্ঠিত

চাল বিতরণ কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

Update Time : 04:34:32 pm, Monday, 17 March 2025

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে চাল বিতরণ কর্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে,নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ২:৩০ দিকে গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিএনপি নেতা আনোয়ার ইসলাম গ্রুপের কর্মী মাসুদ রানা ইউপি সদস্য নূর হোসেনের কাছে ভিজিএফ কার্ড দাবি করেন। তবে নূর হোসেন জানান তার কাছে সীমিত কার্ড রয়েছে যা দিয়ে ওয়ার্ড মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাসুদ ও তার ভাই মইনুর নূর হোসেনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে। ঘটনার পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিএনপি অপর গ্রুপের সদস্য এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রশাসন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয়। গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসিন আলি শাহ্ জানান, ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২৬৫০ জনকে ১০কেজি করে চাল দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু সংঘর্ষের কারণে বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। হামলার শিকার ইউপি সদস্য নুর হোসেন বলেন, আমি কার্ডের সংখ্যা কম থাকায় মাসুদ রানাকে দিতে পারিনি, তবে তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছিলাম। তিনি ও তার ভাই আমার ওপর হামলা চালান য পরে বড় সংঘর রূপ নেই। “অন্যদিক, অভিযুক্ত মাসুদ রানা দাবি করেন, আমি কার্ড ছিলাম কিন্তু পাইনি। তবে কোন মারধরের ঘটনায় জরিত নই,শুধু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ভোলাহাট উপজেলার সভাপতি ইয়াজদানী জর্জ বলেন, নূর হোসেন বিএনপি একজন কর্মী হলেও তিনি আমার অনুসারী নন।তকে মারধরের ঘটনা শুনেছি তবে এ ধরনের সংঘর্ষ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে যারা জরিত , তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। “সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংঘর্ষে পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।সাধারণত মানুষ চাল না পেয়ে ফিরে গেছেন, যা তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং চাল বিতরণ পুনরায় শুরু করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।