Dhaka 2:17 pm, Sunday, 11 May 2025
সর্বশেষঃ
নওগাঁর রাণীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের তিন নেতা গ্রেফতার চাপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত মহিলা কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিনকে লাঞ্চিতের অভিযোগ নরসিংদী প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার হয় আউয়াল ও সজল শিরোনামে পত্রিকায় নিউজ হইলে। পিতা কে না পেয়ে ছেলের উপর হামলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে উদ্বোধন হলো মাসব্যাপী শিল্পপণ্য ও বাণিজ্য মেলা  তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন শিবগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য। পত্নীতলায় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত এক সপ্তাহে ৭টি গরু চুরি নওগাঁর রাণীনগরে আবারো বেড়েছে গরু চুরি চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিল্পপণ্য ও বাণিজ্য মেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে আন্তঃনগর ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন

শিবগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য।

শিবগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকানগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে বেকারি বিভিন্ন পণ্য। বেকারির এসব পণ্য খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে মানুষ। ঝুঁকিতে মানব স্বাস্থ্য। সরেজমিনে দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বড়হাদিনগর এলাকায় কল্পনা বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে পণ্য তৈরি করছে। এছাড়া শিবগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত বেকারির ছড়াছড়ি। এই উপজেলায় অন্তত ২০টি বেকারির কারখানায় বিস্কুট কেক, রুটি, পাউরুটিসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, কল্পনা বেকারির কারখানায় ঢুকেই চোখে পড়ে নোংরা পরিবেশ, মেঝেতে ছড়ানো ময়লা, আর পুরনো পোড়া তেল। শুধু তেল নয়, স্বাস্থ্যবিধি মানারও কোনো বালাই নেই। খোলা হাতে, শরীরে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই বানানো হচ্ছে এসব পণ্য। আর কাঁচামাল? সেটাও মানহীন। তৈরি করা খাবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকে খোলা জায়গায়। এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে বেকারির ম্যানেজার মাহবুর নানা অযুহাত দেখায়। তিনি জানান, এই বেকারির মালিক প্রোঃ মোঃ কুড়ান আলী। আইন অনুযায়ী, একটি বেকারি কারখানা চালাতে বিএসটিআই অনুমোদন, স্যানিটারি লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা ছাড়পত্র প্রয়োজন। তবে অধিকাংশ বেকারির নেই ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই, পরিবেশ, স্যানিটারি ও ট্রেডমার্ক ছাড়পত্র। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এসব বেকারি। জানা যায়, বেশির ভাগ শিশুর পছন্দের খাবারের তালিকায় বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ বিভিন্ন ধরণের বেকারির পণ্য রয়েছে। আবার অনেকে বাজার থেকে পরিবারের জন্য এসব বেকারি পণ্য কিনে নিয়ে যান। বাড়িতে কিংবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গেলেও বেকারি পণ্য দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন। সাধারণ মানুষও বাজার থেকে বেকারি এসব পণ্য কিনে খায়। ক্রান্তি দূর করতে রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ টং দোকানে এক কাপ চায়ের সাথে এসব খাদ্য দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে থাকে। এসব খাদ্যসামগ্রীর চাহিদাও মোটামুটি বেশ। তবে এসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কীভাবে কোন পরিবেশে এগুলো তৈরি হচ্ছে, এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, রাউজানে যেসব বেকারিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করছে, ওই সব কারখানার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

আরও দেখুন

নওগাঁর রাণীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের তিন নেতা গ্রেফতার

শিবগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য।

Update Time : 06:00:27 pm, Friday, 9 May 2025

শিবগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকানগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে বেকারি বিভিন্ন পণ্য। বেকারির এসব পণ্য খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে মানুষ। ঝুঁকিতে মানব স্বাস্থ্য। সরেজমিনে দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বড়হাদিনগর এলাকায় কল্পনা বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে পণ্য তৈরি করছে। এছাড়া শিবগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত বেকারির ছড়াছড়ি। এই উপজেলায় অন্তত ২০টি বেকারির কারখানায় বিস্কুট কেক, রুটি, পাউরুটিসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, কল্পনা বেকারির কারখানায় ঢুকেই চোখে পড়ে নোংরা পরিবেশ, মেঝেতে ছড়ানো ময়লা, আর পুরনো পোড়া তেল। শুধু তেল নয়, স্বাস্থ্যবিধি মানারও কোনো বালাই নেই। খোলা হাতে, শরীরে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই বানানো হচ্ছে এসব পণ্য। আর কাঁচামাল? সেটাও মানহীন। তৈরি করা খাবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকে খোলা জায়গায়। এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে বেকারির ম্যানেজার মাহবুর নানা অযুহাত দেখায়। তিনি জানান, এই বেকারির মালিক প্রোঃ মোঃ কুড়ান আলী। আইন অনুযায়ী, একটি বেকারি কারখানা চালাতে বিএসটিআই অনুমোদন, স্যানিটারি লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা ছাড়পত্র প্রয়োজন। তবে অধিকাংশ বেকারির নেই ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই, পরিবেশ, স্যানিটারি ও ট্রেডমার্ক ছাড়পত্র। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এসব বেকারি। জানা যায়, বেশির ভাগ শিশুর পছন্দের খাবারের তালিকায় বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ বিভিন্ন ধরণের বেকারির পণ্য রয়েছে। আবার অনেকে বাজার থেকে পরিবারের জন্য এসব বেকারি পণ্য কিনে নিয়ে যান। বাড়িতে কিংবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গেলেও বেকারি পণ্য দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন। সাধারণ মানুষও বাজার থেকে বেকারি এসব পণ্য কিনে খায়। ক্রান্তি দূর করতে রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ টং দোকানে এক কাপ চায়ের সাথে এসব খাদ্য দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে থাকে। এসব খাদ্যসামগ্রীর চাহিদাও মোটামুটি বেশ। তবে এসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কীভাবে কোন পরিবেশে এগুলো তৈরি হচ্ছে, এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, রাউজানে যেসব বেকারিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করছে, ওই সব কারখানার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।