Dhaka 1:56 am, Sunday, 8 June 2025
সর্বশেষঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ। পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সাংবাদিক কাজলকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতী দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর উদ্যোগে বিনামূল কোরআন উপহার প্রদান করা পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা কালিহাতীতে অতর্কিত বাড়িতে হামলা, আহত ৩ — স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ সাংবাদিক সালেক আহমেদ পলাশ কে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানি মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ

আ.লীগ ফ্যাসিস্ট পার্টি,তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তৎপরতা বেড়েই চলেছে

বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি-

বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে,তার চূড়ান্ত রূপ হলো ৩৬ দিনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন। এ-র পরেও দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা ৪নং দিওড় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান বাদশা পিতা মৃত কেরামত আলী ও ইউনিয়ন মুল দলের ইউনিয়ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াজেদ আলী পিতা মৃত আব্দুর সাত্তার উভয়ের গ্রাম আঠারোজানি।সরজমিনে জানা যায়,দিওড় ইউনিয়নের ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের দোসরের পক্ষে জোরালো ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ এদের ২ জনকেই দ্রুত গ্রেফতারের জোরদাবী জানান। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান,স্হানীয় প্রশাসন উক্ত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর
মোঃ কামরুজ্জামান ও ওয়াজেদ আলীর বিরুদ্ধে স্হানীয় বিরামপুর থানায় তাদের কমিটি লিষ্ট ও ফ্যাসিষ্ট সরকারের আওয়ামী লীগের দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের বিভিন্ন ধরনের মিটিং এ উপস্থিত ছবিতে বিদ্যমান রয়েছে।তারপরও তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসছেনা। স্হানীয় জনগণের জোরদাবী দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোরদাবী জানান। উল্লেখ্য আন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পদত্যাগ করেন নাই,এটা আমাদের সবার কাছে স্পষ্ট। তার পতন হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ তার পতন ঘটিয়েছেন। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট পার্টি,আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা দিনাজপুর বিরামপুর ৪নং দিওড় ইউনিয়নের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল আওয়ামী সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের একান্ত আস্থাভাজন কাছের একজন কর্মী ছিলেন। একমাত্র তারই নিয়ন্ত্রণে ছিলেন দিওড় ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান বাদশা সহ অনেক পরিচিত মুখ। এদের প্রতি এলাকার জনগণ তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগ কিন্তু একটা ফ্যাসিস্ট পার্টি। তৃণমূল পর্যন্ত তার কমিটি আছে,বাহিনী আছে। সে বাহিনী কিন্তু একই রকম ক্ষতিকারক। বাংলাদেশের জনগণের জন্য আসলে হুমকি। বড়দের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতার করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন স্হানীয় জনসাধারণ। এ-ই এলাকায় দিওড় ইউনিয়ন তৃণমূলে চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের দিগ নির্দেশনায় সেচ্ছাসেবকলীগ ছাত্রলীগ-যুবলীগ যারা আছে তারা প্রতি নিয়ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেই চলেছে। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। এমন জোরালো দাবী থাকলেও বিরামপুর থানা ওসি তাদের কে গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি দিয়ে রেখেছেন। ফলে এলাকায় খুন রাহাজানি ছিনতাই ধর্ষন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বেড়েই চলেছে।প্রকৃত পক্ষে আওয়ামীরা সমাজে সন্ত্রাসী কার্যক্রম না করে আত্মসমর্পণ করা। তাহলে হয়তো শাস্তি কিছুটা কম হতে পারে। যারাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রাজনীতির অংশীদার ছিল,সুবিধাবাদী ছিল, তাদের একটাই পরিচয় সে ফ্যাসিস্ট এবং গণহত্যাকারী দল। বিরামপুর থানা ওসি তাদের আইনের আওতায় না নেওয়ার কারণে শহর ও সমাজে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে যেন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা গড়ে না ওঠে,সেজন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। জনগণের মনের ভাষাকে রাজনীতির ভাষায় রূপান্তর করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। অনেকে বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করেন। এই ধারণা একেবারেই ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথ মসৃণ করা। আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ ও প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, সেই আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে কখনও আসবে না। যদি আসে সেটা হবে শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নেয়। এরপর তারা একের পর এক নির্বাচনকে আয়ত্তে নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে। বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেখানে মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমাদের এমন একটি রাজনৈতিক কাঠামো সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে কেউ যেন আরেকজন শেখ হাসিনা হয়ে উঠতে না পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sadhin bangladesh

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ।

আ.লীগ ফ্যাসিস্ট পার্টি,তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তৎপরতা বেড়েই চলেছে

Update Time : 05:38:59 am, Thursday, 6 March 2025

বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি-

বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে,তার চূড়ান্ত রূপ হলো ৩৬ দিনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন। এ-র পরেও দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা ৪নং দিওড় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান বাদশা পিতা মৃত কেরামত আলী ও ইউনিয়ন মুল দলের ইউনিয়ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াজেদ আলী পিতা মৃত আব্দুর সাত্তার উভয়ের গ্রাম আঠারোজানি।সরজমিনে জানা যায়,দিওড় ইউনিয়নের ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের দোসরের পক্ষে জোরালো ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ এদের ২ জনকেই দ্রুত গ্রেফতারের জোরদাবী জানান। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান,স্হানীয় প্রশাসন উক্ত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর
মোঃ কামরুজ্জামান ও ওয়াজেদ আলীর বিরুদ্ধে স্হানীয় বিরামপুর থানায় তাদের কমিটি লিষ্ট ও ফ্যাসিষ্ট সরকারের আওয়ামী লীগের দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের বিভিন্ন ধরনের মিটিং এ উপস্থিত ছবিতে বিদ্যমান রয়েছে।তারপরও তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসছেনা। স্হানীয় জনগণের জোরদাবী দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোরদাবী জানান। উল্লেখ্য আন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পদত্যাগ করেন নাই,এটা আমাদের সবার কাছে স্পষ্ট। তার পতন হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ তার পতন ঘটিয়েছেন। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট পার্টি,আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা দিনাজপুর বিরামপুর ৪নং দিওড় ইউনিয়নের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল আওয়ামী সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের একান্ত আস্থাভাজন কাছের একজন কর্মী ছিলেন। একমাত্র তারই নিয়ন্ত্রণে ছিলেন দিওড় ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান বাদশা সহ অনেক পরিচিত মুখ। এদের প্রতি এলাকার জনগণ তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগ কিন্তু একটা ফ্যাসিস্ট পার্টি। তৃণমূল পর্যন্ত তার কমিটি আছে,বাহিনী আছে। সে বাহিনী কিন্তু একই রকম ক্ষতিকারক। বাংলাদেশের জনগণের জন্য আসলে হুমকি। বড়দের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতার করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন স্হানীয় জনসাধারণ। এ-ই এলাকায় দিওড় ইউনিয়ন তৃণমূলে চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের দিগ নির্দেশনায় সেচ্ছাসেবকলীগ ছাত্রলীগ-যুবলীগ যারা আছে তারা প্রতি নিয়ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেই চলেছে। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। এমন জোরালো দাবী থাকলেও বিরামপুর থানা ওসি তাদের কে গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি দিয়ে রেখেছেন। ফলে এলাকায় খুন রাহাজানি ছিনতাই ধর্ষন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বেড়েই চলেছে।প্রকৃত পক্ষে আওয়ামীরা সমাজে সন্ত্রাসী কার্যক্রম না করে আত্মসমর্পণ করা। তাহলে হয়তো শাস্তি কিছুটা কম হতে পারে। যারাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রাজনীতির অংশীদার ছিল,সুবিধাবাদী ছিল, তাদের একটাই পরিচয় সে ফ্যাসিস্ট এবং গণহত্যাকারী দল। বিরামপুর থানা ওসি তাদের আইনের আওতায় না নেওয়ার কারণে শহর ও সমাজে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে যেন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা গড়ে না ওঠে,সেজন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। জনগণের মনের ভাষাকে রাজনীতির ভাষায় রূপান্তর করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। অনেকে বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করেন। এই ধারণা একেবারেই ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথ মসৃণ করা। আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ ও প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, সেই আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে কখনও আসবে না। যদি আসে সেটা হবে শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নেয়। এরপর তারা একের পর এক নির্বাচনকে আয়ত্তে নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে। বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেখানে মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমাদের এমন একটি রাজনৈতিক কাঠামো সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে কেউ যেন আরেকজন শেখ হাসিনা হয়ে উঠতে না পারে।