
জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলার পাহাড় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর জন সাধারণের বহুল আলোচিত ও প্রতিক্ষিত কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ২৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার সি–ট্রাক। একই সাথে মহেশখালী ঘাটে স্থাপন করা হয়েছে পল্টুন। ‘ভাষাসৈনিক আবদুল জব্বার’ নামের সি-ট্রাকটি চালু করা
১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার ঘাট থেকে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে ট্রায়াল রানে ছেড়ে যায় একটি সি-বাস। সি ট্রাক যাত্রা শুরুর প্রায় ৩৫ মিনিট পর সী ট্রাকটি মহেশখালী জেটিতে পৌঁছায়। এই সি-বাস চালুর খবরে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ঘাটে স্থানীয়দের মাঝে দেখা যায় ব্যাপক আগ্রহ ও আনন্দ উল্লাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের তীরে ঘেঁষা পাহাড় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নৌরুটে ফেরি চালু সহ সেতু নির্মাণের দাবি বহুদিনের।
সম্প্রতি ছাত্র ও সাধারণ জনগণের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্টের পর উদ্যোগটি বাস্তবায়নের পথ প্রায়। আজ তারই অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হলো মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথর সি-বাস (সি-ট্রাক)।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, “আজ থেকে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-বাস চালু হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও শীঘ্রই হবে।”
মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে সি-ট্রাক ভিড়েছে মহেশখালী জেটি ঘাটে। দ্বীপের মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসবো।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, “দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তব রূপ পেয়েছে। এই সি-ট্রাক চালু হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।”
উল্লেখ্য প্রথম বারের মতো যাত্রী নিয়ে সী-ট্রাক ভিড়েছে মহেশখালী জেটি ঘাটে। মহেশখালী জেটি ঘাটে স্থাপন করা হয়েছে একটি পল্টুন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে— গত ১৫ বছর মহেশখালী জেটিঘাট কেন্দ্রীক সিন্ডিকেটের বাঁধায় এই রুটে সী-ট্রাক চালু করা যায়নি। ২৫ এপ্রিল থেকে নিয়মিত যাতায়াত করবে সি–ট্রাকটি। যাত্রীপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ হতে পারে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা।