Dhaka 4:25 am, Thursday, 8 May 2025
সর্বশেষঃ
নওগাঁর রাণীনগরে যুবদলের প্রস্তুতি সভা নরসিংদীর মাধবদীতে ভণ্ড পীর তাইজ উদ্দিনের সেরকি কান্ড মুক্তাগাছা পৌরসভা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমিটি গঠন গফরগাঁওয়ে অবৈধভাবে বালু বিক্রয় করায় মোবাইল কোট অভিযান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন নরসিংদী মাধবীর মেহের পাড়ায় বৃদ্ধ মহিলার হামলাকারী নাদিম কে গ্রেফতার করেছে মাধবদী থানা পুলিশ শিবগঞ্জে জমি দানকারীসহ শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ গোমস্তাপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র‍্যাব-১৪, কর্তৃক ১১৪ বোতল বিদেশী মদ ও ০১ টি প্রাইভেটকার সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ০১ ডোমার মহাসড়কে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় যুবক নিহত

দুর্গাপুরে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের মায়ের সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:08:59 pm, Thursday, 1 May 2025
  • 279 Time View

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তেলুঞ্জিয়া এলাকার এক রিসোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া (১৯) এক তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক (বর্তমানে বহিস্কৃত) মো. ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় কে আসামী করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফয়সাল বর্তমানে করাগারে আছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও পরিকল্পিত এবং ফয়সাল কে নির্দোষ দাবি করে দুর্জয়ের মা দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডীগড় গ্রামের বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ও মোছা. খাদিজা আক্তার দম্পত্তির ছেলে।

মোছা. খাদিজা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে দুর্জয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে জড়িত থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। কিছুদিন ধরে তাকে বিভিন্নভাবে মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি, বন্ধু দাবী করে তার সাথে মেলামেশা করে আসছিলো যা আমার পুত্র বুঝে উঠতে পারেনি। সম্প্রতি আমার পুত্রকে জড়িয়ে ধর্ষণ কার্যক্রমের যে নাটক সাজানো হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও সাজানো। তাকে অযথা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মূলত যে নারী দুর্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, সে প্রকৃতপক্ষে একজন দুশ্চরিত্রা মেয়ে। যার বিভিন্ন স্থিরচিত্র ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় ওই মেয়ে একজন পেশাদার পতিতা। ওই মেয়ে ও মুন্না মিয়া সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এর সক্রিয় কর্মী বলেও স্থির চিত্রের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে।

দুর্গাপুর থানার ওসিকে দোষারোপ করে খাদিজা আক্তার বলেন, মামলার বাদী প্রমি আক্তারের জবানবন্দি অনুযায়ী এফআইআরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুন্নার সাথে রিসোর্টে অবস্থান করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তা টের পেয়ে গেলে ওসি মাহমুদুল হাসান রিসোর্টে গিয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসেন এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উৎকোচের বিনিময়ে ছাত্রলীগ কর্মী মুন্নাকে বাঁচানোর জন্য আমার ছেলেকে ধর্ষনের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। প্রকৃত ধর্ষণকারী মুন্নাকে দুর্গাপুর থানার একটি পুরাতন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ওসি এই ধর্ষণের নাটকটি সাজিয়ে দেয়। সেজন্যই ছাত্রলীগ নেতা ও প্রকৃত ধর্ষণকারী মুন্নাকে রক্ষা করে ছাত্রদল নেতা দুর্জয় কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। আমার ছেলের অপরাধ সে ছাত্রদল করে। তাই আমার ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুল ঘটনা উদঘাটন এবং দুর্জয় কে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবী সহ ওসি মাহমুদুল হাসান কে প্রত্যাহারের জন্য পুলিশের উর্ধতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন দুর্জয়ের মা মোছা. খাদিজা আক্তার। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, মোবারক হোসেন, হুমায়ুন কবীর, নাইমুর রহমান ও আল আমীন।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী দুজনের কাউকেই আমি আগে থেকে চিনতাম না। উৎকোচ নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। বাদীর দায়ের করা মামলায় একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়। আইনের ভিত্তিতেই পুলিশ কাজ করেছে। এখানে আমাকে দোষারোপ করার কিছু নেই।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুণীসহ মো. ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় ও তার বন্ধু জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবিদ হাসান মুন্না মিয়া ও হোটেল ম্যানেজার পিষুষ দেবনাথকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন ৩০ এপ্রিল দুর্জয়কে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Shahin Shahin

আরও দেখুন

নওগাঁর রাণীনগরে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

দুর্গাপুরে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের মায়ের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : 11:08:59 pm, Thursday, 1 May 2025

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তেলুঞ্জিয়া এলাকার এক রিসোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া (১৯) এক তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক (বর্তমানে বহিস্কৃত) মো. ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় কে আসামী করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফয়সাল বর্তমানে করাগারে আছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও পরিকল্পিত এবং ফয়সাল কে নির্দোষ দাবি করে দুর্জয়ের মা দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডীগড় গ্রামের বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ও মোছা. খাদিজা আক্তার দম্পত্তির ছেলে।

মোছা. খাদিজা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে দুর্জয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে জড়িত থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। কিছুদিন ধরে তাকে বিভিন্নভাবে মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি, বন্ধু দাবী করে তার সাথে মেলামেশা করে আসছিলো যা আমার পুত্র বুঝে উঠতে পারেনি। সম্প্রতি আমার পুত্রকে জড়িয়ে ধর্ষণ কার্যক্রমের যে নাটক সাজানো হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও সাজানো। তাকে অযথা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মূলত যে নারী দুর্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, সে প্রকৃতপক্ষে একজন দুশ্চরিত্রা মেয়ে। যার বিভিন্ন স্থিরচিত্র ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় ওই মেয়ে একজন পেশাদার পতিতা। ওই মেয়ে ও মুন্না মিয়া সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এর সক্রিয় কর্মী বলেও স্থির চিত্রের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে।

দুর্গাপুর থানার ওসিকে দোষারোপ করে খাদিজা আক্তার বলেন, মামলার বাদী প্রমি আক্তারের জবানবন্দি অনুযায়ী এফআইআরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুন্নার সাথে রিসোর্টে অবস্থান করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তা টের পেয়ে গেলে ওসি মাহমুদুল হাসান রিসোর্টে গিয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসেন এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উৎকোচের বিনিময়ে ছাত্রলীগ কর্মী মুন্নাকে বাঁচানোর জন্য আমার ছেলেকে ধর্ষনের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। প্রকৃত ধর্ষণকারী মুন্নাকে দুর্গাপুর থানার একটি পুরাতন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ওসি এই ধর্ষণের নাটকটি সাজিয়ে দেয়। সেজন্যই ছাত্রলীগ নেতা ও প্রকৃত ধর্ষণকারী মুন্নাকে রক্ষা করে ছাত্রদল নেতা দুর্জয় কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। আমার ছেলের অপরাধ সে ছাত্রদল করে। তাই আমার ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুল ঘটনা উদঘাটন এবং দুর্জয় কে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবী সহ ওসি মাহমুদুল হাসান কে প্রত্যাহারের জন্য পুলিশের উর্ধতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন দুর্জয়ের মা মোছা. খাদিজা আক্তার। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, মোবারক হোসেন, হুমায়ুন কবীর, নাইমুর রহমান ও আল আমীন।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী দুজনের কাউকেই আমি আগে থেকে চিনতাম না। উৎকোচ নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। বাদীর দায়ের করা মামলায় একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়। আইনের ভিত্তিতেই পুলিশ কাজ করেছে। এখানে আমাকে দোষারোপ করার কিছু নেই।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুণীসহ মো. ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় ও তার বন্ধু জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবিদ হাসান মুন্না মিয়া ও হোটেল ম্যানেজার পিষুষ দেবনাথকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন ৩০ এপ্রিল দুর্জয়কে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।