
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নে চাঁদা না পেয়ে কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আবদুল্ল্যাহ আল মামুন নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করেছে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও তারছোট ভাই নাম উঠে আসায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ওই ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগীরা জানান, চাঁদার দাবিতে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে হামলা চালিয়েছে এটি আসলে একটি পরিকল্পিত হামলা ছিল। রাতের আঁধারে হামলা হওয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির ভাইয়ের নাম ব্যবহার করা হয়। পরে আমরা এলাকার লোকজন মিলে সঠিক তদন্ত করতে গেলে সেখানে দেখা যায় যে, ইউনিয়ন বিএনপির মাহমুদ ভাই ও তার ভাই শুভেলের নাম যে ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে আসলে সেটি একটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের নাম জড়িয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে মূল ঘটনাটি হচ্ছে ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে দুইটি গ্রুপ থাকায় একটি গ্রুপ অন্য গ্রুপকে কোনঠাসা করার জন্য মূলত তাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদা চেয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। এরই জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যা আরেক ব্যবসায়ী আবদুল্ল্যাহ আল মামুনকে মারধর করে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত ও ভুল বুঝাবুঝির মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদ ও তার ভাইয়ের নাম উঠে আসায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি । আসলে প্রকৃতপক্ষে তাদের এই ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমি সে দিন বলেছিলাম উভয় পক্ষ আমাদের দলের লোক। তাই সবাইকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এবং ওই দিন আমি দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো দেখে এসেছি। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করি। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখি এখানে আমাদের যে দুইটি গ্রুপ রয়েছে তার মধ্যে একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে আমাদের নাম ব্যবহার করে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে সবাইকে একত্রিত করে ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এটি দলীয় কোন বিষয় না। তাদের নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আমার ভাই শুভল মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো সে মারামারি করতে যায়নি। যারা এই ঘটনা ঘটেছে তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি। এরই মধ্যে আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি।