Dhaka 5:59 am, Monday, 9 June 2025
সর্বশেষঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ। পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সাংবাদিক কাজলকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতী দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর উদ্যোগে বিনামূল কোরআন উপহার প্রদান করা পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা কালিহাতীতে অতর্কিত বাড়িতে হামলা, আহত ৩ — স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ সাংবাদিক সালেক আহমেদ পলাশ কে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানি মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রহনপুরের ঈদবাজার

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:55:52 pm, Saturday, 29 March 2025
  • 54 Time View

মোঃ তুহিন ( চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ)

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র রহনপুরে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তে ঈদের বাজার। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ অর্থই খুশি, আনন্দ ও উৎসবের আয়োজন। মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান দুটি উৎসবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঈদুল ফিতর। “ঈদ” অর্থ উৎসব বা আনন্দ। “ফিতর” অর্থ বিদীর্ণ করা, উপবাস ভঙ্গ করা, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া। বিশ্বের মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর অনাবিল আনন্দ ও উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। দীর্ঘ একমাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের এই দিনটিকে ধর্মীয় কর্তব্য পালন সহ খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করে থাকে। সারা বছর মুসলমানরা অপেক্ষায় থাকে তাদের প্রাণের উৎসব ঈদুল ফিতরের জন্য। সকলের সাথে এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দূর দূরান্ত থেকে শেকড়ের টানে চলে আসে তাদের নিজ বাড়িতে। সমস্ত ব্যস্ততা, ক্লান্তি আর বাকি দিনগুলোর কষ্টের কথা ভুলিয়ে দিতে যেন উদয় হয় ঈদের দিন। ঈদের দিনটাকে সুন্দর করার জন্য আয়োজন শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। ঈদকে উপলক্ষ করে শুরু হয় কেনাকাটা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম আর রোদ উপেক্ষা করে মার্কেটমুখী ক্রেতাদের চাপ বাড়তে থাকে। ঈদ কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই তাদের বাড়তি বিক্রির আশা থাকে। এবারও তেমনটিই আশা করছেন তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার জুতাসহ ঈদের প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে। এর পেছনে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন অনেকেই।

উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হালকা-পাতলা ও গরমে আরামদায়ক পোশাকের দিকে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। মাঝারি দামের পোশাকের চাহিদা বেশি। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রহনপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলো। পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্রেতারা মার্কেটে এসে পছন্দের পোষাক কিনে ঘরে ফিরছেন। ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানিদেরও ব্যস্ততার শেষ নেই। কোনো কোনো দোকানে এমন ভিড় যে পোষাকের দাম পরিশোধ করার জন্য ক্রেতাদের লাইন ধরে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বহনপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকান, জুতার স্যান্ডেলের দোকান, কসমেটিক্স এর দোকান ও খাবারের দোকানে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাসের প্রতীক্ষা শেষে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে ও পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে অভিভাবকরা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি রহনপুর বড়বাজার, স্টেশন বাজার, কলেজ মোড় সহ গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে মানুষজন ভিড় করছে। শুধু পোশাক নয়, ঈদ বাজারে জুতা ও স্যান্ডেলের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্টেশন বাজার রোডে নাদিম সু-প্যালেস, সুগার্ডেনে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

রহানপুর স্টেশন বাজারে নাদিম সু-কালেকশন এর উত্তরাধিকারী মোহাম্মদ নাদিম হোসেন জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নতমানের জুতা ও স্যান্ডেল বিক্রি করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন সকাল ৯টা শুরু হয়ে রাত্রি ১২ টা পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে। বিশেষ করে ক্রেতাদের চাইনা ও ইন্ডিয়া জুতা সেন্ডেলের উপর আগ্রহ বেশি। দাম যেমন হোক পছন্দ হলেই ক্রেতারা ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ব্যবসা ভালই হচ্ছে। তিনি আশা করছেন, এ রমজানের শেষের দিকে বেচা-কেনা আরো ভালো হবে।

রহনপুরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বিজয় চক্রবর্তী জানান, সকাল থেকে গভীর রাত অবধি দোকান খুলে রাখতে হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ঈদের বাজার করতে রহনপুর স্টেশন বাজারে ছুটে আসছেন। বিক্রিও ভালোই হচ্ছে। এ ব্যবসায়ী আরো বলেন, বরাবরের মতো ছেলেদের তুলনায় মেয়ে ক্রেতা বেশি। এবার ঈদকে সামনে রেখে মেয়েদের কালেকশনও অনেক বেশি। এছাড়াও ছেলেদের টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট, হালকা গরমের পাঞ্জাবি, কাতুয়া সহ ভালো মানের পোশাক কালেকশনও আছে। এবারের ঈদে মেয়েদের নাইরা, আফগান, সারারা, গারারা, আলিয়া ভাট ও গ্রাউন্ড পোশাকের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ছেলেদের গেঞ্জি সেট, শার্ট ও প্যান্ট, পায়জামা পাঞ্জাবি, কাতুয়া ও জিন্স প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সব আশঙ্কা দূর করে ঈদ পর্যন্ত ভালো ব্যবসা করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।

রহনপুর স্টেশন বাজারের মহানন্দা কসমেটিকসের উত্তরাধিকারী রুহুল আমিন জানান, এবার ঈদে পছন্দসই কসমেটিক্সস কেনার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় বেচাকেনার সময় বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিনের প্রথম ভাগে বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। তারপরও আশা করছি শেষের দিকে ব্যবসা ভালোই হবে।

পবিত্র রমজানে রোজাদারদের কাছে আকর্ষণীয় হলো ইফতার। বাহারি রঙের ইফতার সাজিয়ে রহনপুরের বিভিন্ন হোটেলগুলো ভালোই ব্যবসা করছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে রাস্তার দুই ধারে ভ্রাম্যমান দোকান করে জিলাপি, পিয়াজু, বেগুনি, ছোলা, তরমুজ, আপেল, কমলা, পেয়ারা, কলা সহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। একেতো ঈদের বাজার তারপরে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে রোজাদারদের ইফতার সামগ্রি ক্রয় সব মিলিয়ে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে রহনপুরের বিভিন্ন জায়গায়।

রহনপুরের হোটেল ব্যবসায়ী মহানন্দা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক আব্বাস আলী জানান, পবিত্র রমজানে ইফতার সামগ্রীর মূল্য কিছুটা কম হলেও কেনা-বেচার অবস্থা গতবারের তুলনায় কম। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, মানুষের আর্থিক অবস্থার কারণে মনে হয় এ অবস্থা। ঈদ উপলক্ষে মিষ্টি ক্রয় করতে‌ ইতিমধ্যে গ্রাহকগণ দোকানে ছুটে আসছেন। ইনশাল্লাহ রমজানের শেষের দিকে ব্যবসা ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন টেইলার্সের দর্জিরা। ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, পায়জাম ইত্যাদি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Shahin Shahin

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ।

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রহনপুরের ঈদবাজার

Update Time : 11:55:52 pm, Saturday, 29 March 2025

মোঃ তুহিন ( চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ)

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র রহনপুরে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তে ঈদের বাজার। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ অর্থই খুশি, আনন্দ ও উৎসবের আয়োজন। মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান দুটি উৎসবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঈদুল ফিতর। “ঈদ” অর্থ উৎসব বা আনন্দ। “ফিতর” অর্থ বিদীর্ণ করা, উপবাস ভঙ্গ করা, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া। বিশ্বের মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর অনাবিল আনন্দ ও উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। দীর্ঘ একমাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের এই দিনটিকে ধর্মীয় কর্তব্য পালন সহ খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করে থাকে। সারা বছর মুসলমানরা অপেক্ষায় থাকে তাদের প্রাণের উৎসব ঈদুল ফিতরের জন্য। সকলের সাথে এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দূর দূরান্ত থেকে শেকড়ের টানে চলে আসে তাদের নিজ বাড়িতে। সমস্ত ব্যস্ততা, ক্লান্তি আর বাকি দিনগুলোর কষ্টের কথা ভুলিয়ে দিতে যেন উদয় হয় ঈদের দিন। ঈদের দিনটাকে সুন্দর করার জন্য আয়োজন শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। ঈদকে উপলক্ষ করে শুরু হয় কেনাকাটা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম আর রোদ উপেক্ষা করে মার্কেটমুখী ক্রেতাদের চাপ বাড়তে থাকে। ঈদ কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই তাদের বাড়তি বিক্রির আশা থাকে। এবারও তেমনটিই আশা করছেন তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার জুতাসহ ঈদের প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে। এর পেছনে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন অনেকেই।

উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হালকা-পাতলা ও গরমে আরামদায়ক পোশাকের দিকে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। মাঝারি দামের পোশাকের চাহিদা বেশি। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রহনপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলো। পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্রেতারা মার্কেটে এসে পছন্দের পোষাক কিনে ঘরে ফিরছেন। ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানিদেরও ব্যস্ততার শেষ নেই। কোনো কোনো দোকানে এমন ভিড় যে পোষাকের দাম পরিশোধ করার জন্য ক্রেতাদের লাইন ধরে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বহনপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকান, জুতার স্যান্ডেলের দোকান, কসমেটিক্স এর দোকান ও খাবারের দোকানে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাসের প্রতীক্ষা শেষে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে ও পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে অভিভাবকরা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি রহনপুর বড়বাজার, স্টেশন বাজার, কলেজ মোড় সহ গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে মানুষজন ভিড় করছে। শুধু পোশাক নয়, ঈদ বাজারে জুতা ও স্যান্ডেলের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্টেশন বাজার রোডে নাদিম সু-প্যালেস, সুগার্ডেনে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

রহানপুর স্টেশন বাজারে নাদিম সু-কালেকশন এর উত্তরাধিকারী মোহাম্মদ নাদিম হোসেন জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নতমানের জুতা ও স্যান্ডেল বিক্রি করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন সকাল ৯টা শুরু হয়ে রাত্রি ১২ টা পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে। বিশেষ করে ক্রেতাদের চাইনা ও ইন্ডিয়া জুতা সেন্ডেলের উপর আগ্রহ বেশি। দাম যেমন হোক পছন্দ হলেই ক্রেতারা ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ব্যবসা ভালই হচ্ছে। তিনি আশা করছেন, এ রমজানের শেষের দিকে বেচা-কেনা আরো ভালো হবে।

রহনপুরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বিজয় চক্রবর্তী জানান, সকাল থেকে গভীর রাত অবধি দোকান খুলে রাখতে হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ঈদের বাজার করতে রহনপুর স্টেশন বাজারে ছুটে আসছেন। বিক্রিও ভালোই হচ্ছে। এ ব্যবসায়ী আরো বলেন, বরাবরের মতো ছেলেদের তুলনায় মেয়ে ক্রেতা বেশি। এবার ঈদকে সামনে রেখে মেয়েদের কালেকশনও অনেক বেশি। এছাড়াও ছেলেদের টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট, হালকা গরমের পাঞ্জাবি, কাতুয়া সহ ভালো মানের পোশাক কালেকশনও আছে। এবারের ঈদে মেয়েদের নাইরা, আফগান, সারারা, গারারা, আলিয়া ভাট ও গ্রাউন্ড পোশাকের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ছেলেদের গেঞ্জি সেট, শার্ট ও প্যান্ট, পায়জামা পাঞ্জাবি, কাতুয়া ও জিন্স প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সব আশঙ্কা দূর করে ঈদ পর্যন্ত ভালো ব্যবসা করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।

রহনপুর স্টেশন বাজারের মহানন্দা কসমেটিকসের উত্তরাধিকারী রুহুল আমিন জানান, এবার ঈদে পছন্দসই কসমেটিক্সস কেনার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় বেচাকেনার সময় বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিনের প্রথম ভাগে বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। তারপরও আশা করছি শেষের দিকে ব্যবসা ভালোই হবে।

পবিত্র রমজানে রোজাদারদের কাছে আকর্ষণীয় হলো ইফতার। বাহারি রঙের ইফতার সাজিয়ে রহনপুরের বিভিন্ন হোটেলগুলো ভালোই ব্যবসা করছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে রাস্তার দুই ধারে ভ্রাম্যমান দোকান করে জিলাপি, পিয়াজু, বেগুনি, ছোলা, তরমুজ, আপেল, কমলা, পেয়ারা, কলা সহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। একেতো ঈদের বাজার তারপরে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে রোজাদারদের ইফতার সামগ্রি ক্রয় সব মিলিয়ে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে রহনপুরের বিভিন্ন জায়গায়।

রহনপুরের হোটেল ব্যবসায়ী মহানন্দা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক আব্বাস আলী জানান, পবিত্র রমজানে ইফতার সামগ্রীর মূল্য কিছুটা কম হলেও কেনা-বেচার অবস্থা গতবারের তুলনায় কম। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, মানুষের আর্থিক অবস্থার কারণে মনে হয় এ অবস্থা। ঈদ উপলক্ষে মিষ্টি ক্রয় করতে‌ ইতিমধ্যে গ্রাহকগণ দোকানে ছুটে আসছেন। ইনশাল্লাহ রমজানের শেষের দিকে ব্যবসা ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন টেইলার্সের দর্জিরা। ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, পায়জাম ইত্যাদি।