Dhaka 1:10 pm, Sunday, 8 June 2025
সর্বশেষঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ। পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সাংবাদিক কাজলকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতী দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর উদ্যোগে বিনামূল কোরআন উপহার প্রদান করা পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে অবৈধ সিসা তৈরীর কারখানা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা কালিহাতীতে অতর্কিত বাড়িতে হামলা, আহত ৩ — স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ সাংবাদিক সালেক আহমেদ পলাশ কে মিথ্যা ভিত্তিহীন হয়রানি মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ

হোসেনপুরে অটোর যানযটে চরম ভোগান্তিতে মানুষ

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:40:55 pm, Wednesday, 19 March 2025
  • 63 Time View

হোসেনপুর ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :
অটোরিকশার যানজটে চরম ভোগান্তির শহরে পরিণত হয়েছে হোসেনপুর উপজেলার পৌর সদর বাজার। দিনের যে কোন সময় থেকে রাত অবধি, যানযট নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। সামনে ঈদ পরিবারের সকলে ছুটছে বাজারের দিকে, পছন্দের জিনিস, বাজার যেন হাতছাড়া না হয়ে যায়। সদর বাজারে রাস্তা পারাপার হওয়া দায়, অটোরিকশার দাপটে সব মানুষ উঠে এসেছে হকারের রাজত্বের ফুটপাতে এখানেও পা ফেলবার জায়গা নেই। যানযট ও জনযটের তীব্রতায় নাকাল সকলে, পৌর সদরের মূল সড়কের ব্যাবসায়ীরাও অসহায়, রাস্তা পাড়ি দিতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারিরা। পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো এখন এমনিতেই ক্রেতাসাধারনের সমাগমে ঠাসা। এদিকে সড়কের পার্শ্বে গড়ে উঠা বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের গাড়ি দোকানের সামনের রাস্তায় রাখার কারনেও যানযট দেখা দিচ্ছে। হোসেনপুর বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিও এ বিষয়ে কোন ভূমিকা না নেয়ার কারনে এলোমেলো অটো পাকিং করে যাত্রী পরিবহন করায় এ যানযট এখন মানুষের হয়রানির অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে অটোর জন্য নির্ধারিত কোন স্টেন্ড না থাকার কারনে পৌর সদরের প্রধান সড়ক সহ চৌরাস্তাগুলো অনির্ধারিত স্টেন্ড এ পরিণত হয়েছে। সদরে সঠিক কোন ট্রাফিক ব্যাবস্থা না থাকায় আরো বিপাকে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। সরেজমিন গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দেখা যায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বিপনি বিতান গুলোতে কেনাকাটায় ভিড় বেড়ে গেছে, হোসেনপুরের কাপড়ের মার্কেট আশপাশের উপজেলা থেকে অনেক বড় হওয়ায় বাইরের উপজেলার অটোরিকশা ঢুকে পড়ার করনে শহরের যানযট আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। পৌরসভা থেকে হাসপাতাল চৌরাস্তা পর্যন্ত অটোর জন্য গরমের মধ্যে নারী, শিশুরা অনেক কষ্টে হেঁটে চলাচল করেছে। এতে মহিলা ও শিশুরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হামিদা বেগম জানান, প্রচন্ড যানযটে ছেলে সহ অনেক কষ্টে কেনাকাটা করছি ফুটপাতগুলোও লোক চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকলে আমাদের হয়রানি হত না । হোসেনপুর উপজেলা জনদুর্ভোগ নিরশনে নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল ইসলাম ফকির জানান, অটোর জন্য নির্ধারিত স্যান্ড ও ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করে তাদের সরকারী জায়গায় পুর্নবাসনের দাবী জানিয়ে সংশিস্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এদিকে পৌর সদর বাজারের রাস্তায় কুটপাত নির্মানেও জটিলতা থাকায় কোথাও ফুটপাত আছে আবার কোথাও নেই, যতটুকু আছে সেটাও দখল করে অস্থায়ী দোকান থাকার কারণে পথচারীরা ঠিকমত পায়ে হেটেও চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। পৌর সদরে তেমন কোন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানযট ও গরমে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানুষের কষ্টের শেষ নেই। নম্বর ও লাইলেন্স বিহীন অনভিজ্ঞ অটোচালকরা সারা বাজারে নিজেদের খেয়াল খুশি মত যত্রতত্র গাড়ী পাকিং করে যাত্রী পরিবহন করে। গাড়ি ও ড্রাইভারদের লাইসেন্স ও নম্বর না থানায় অটো চালকদের কোন ট্রাফিক জ্ঞান ও দায়বদ্ধতা নেই, সে জন্য অনভিজ্ঞতার কারনে প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার জোন না কোন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে দুর্ঘটনায় মৃতোুর পাশাপাশি বহু মানুষ অকালে পগুুত্ব বরণ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাবসায়ীরা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যাবস্থা না নেয়ার কারনে ক্রেতা ব্যাবসায়ীরা চরম হয়রানি পোহাচ্ছেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার। ভুমি) ও পৌর প্রশাসক ফরিদ আল সোহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে শিগ্রই ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাষ দিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Shahin Shahin

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোর করে বিল দখলের অভিযোগ।

হোসেনপুরে অটোর যানযটে চরম ভোগান্তিতে মানুষ

Update Time : 08:40:55 pm, Wednesday, 19 March 2025

হোসেনপুর ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :
অটোরিকশার যানজটে চরম ভোগান্তির শহরে পরিণত হয়েছে হোসেনপুর উপজেলার পৌর সদর বাজার। দিনের যে কোন সময় থেকে রাত অবধি, যানযট নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। সামনে ঈদ পরিবারের সকলে ছুটছে বাজারের দিকে, পছন্দের জিনিস, বাজার যেন হাতছাড়া না হয়ে যায়। সদর বাজারে রাস্তা পারাপার হওয়া দায়, অটোরিকশার দাপটে সব মানুষ উঠে এসেছে হকারের রাজত্বের ফুটপাতে এখানেও পা ফেলবার জায়গা নেই। যানযট ও জনযটের তীব্রতায় নাকাল সকলে, পৌর সদরের মূল সড়কের ব্যাবসায়ীরাও অসহায়, রাস্তা পাড়ি দিতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারিরা। পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো এখন এমনিতেই ক্রেতাসাধারনের সমাগমে ঠাসা। এদিকে সড়কের পার্শ্বে গড়ে উঠা বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের গাড়ি দোকানের সামনের রাস্তায় রাখার কারনেও যানযট দেখা দিচ্ছে। হোসেনপুর বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিও এ বিষয়ে কোন ভূমিকা না নেয়ার কারনে এলোমেলো অটো পাকিং করে যাত্রী পরিবহন করায় এ যানযট এখন মানুষের হয়রানির অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে অটোর জন্য নির্ধারিত কোন স্টেন্ড না থাকার কারনে পৌর সদরের প্রধান সড়ক সহ চৌরাস্তাগুলো অনির্ধারিত স্টেন্ড এ পরিণত হয়েছে। সদরে সঠিক কোন ট্রাফিক ব্যাবস্থা না থাকায় আরো বিপাকে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। সরেজমিন গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দেখা যায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বিপনি বিতান গুলোতে কেনাকাটায় ভিড় বেড়ে গেছে, হোসেনপুরের কাপড়ের মার্কেট আশপাশের উপজেলা থেকে অনেক বড় হওয়ায় বাইরের উপজেলার অটোরিকশা ঢুকে পড়ার করনে শহরের যানযট আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। পৌরসভা থেকে হাসপাতাল চৌরাস্তা পর্যন্ত অটোর জন্য গরমের মধ্যে নারী, শিশুরা অনেক কষ্টে হেঁটে চলাচল করেছে। এতে মহিলা ও শিশুরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হামিদা বেগম জানান, প্রচন্ড যানযটে ছেলে সহ অনেক কষ্টে কেনাকাটা করছি ফুটপাতগুলোও লোক চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকলে আমাদের হয়রানি হত না । হোসেনপুর উপজেলা জনদুর্ভোগ নিরশনে নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল ইসলাম ফকির জানান, অটোর জন্য নির্ধারিত স্যান্ড ও ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করে তাদের সরকারী জায়গায় পুর্নবাসনের দাবী জানিয়ে সংশিস্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এদিকে পৌর সদর বাজারের রাস্তায় কুটপাত নির্মানেও জটিলতা থাকায় কোথাও ফুটপাত আছে আবার কোথাও নেই, যতটুকু আছে সেটাও দখল করে অস্থায়ী দোকান থাকার কারণে পথচারীরা ঠিকমত পায়ে হেটেও চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। পৌর সদরে তেমন কোন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানযট ও গরমে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানুষের কষ্টের শেষ নেই। নম্বর ও লাইলেন্স বিহীন অনভিজ্ঞ অটোচালকরা সারা বাজারে নিজেদের খেয়াল খুশি মত যত্রতত্র গাড়ী পাকিং করে যাত্রী পরিবহন করে। গাড়ি ও ড্রাইভারদের লাইসেন্স ও নম্বর না থানায় অটো চালকদের কোন ট্রাফিক জ্ঞান ও দায়বদ্ধতা নেই, সে জন্য অনভিজ্ঞতার কারনে প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার জোন না কোন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে দুর্ঘটনায় মৃতোুর পাশাপাশি বহু মানুষ অকালে পগুুত্ব বরণ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাবসায়ীরা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যাবস্থা না নেয়ার কারনে ক্রেতা ব্যাবসায়ীরা চরম হয়রানি পোহাচ্ছেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার। ভুমি) ও পৌর প্রশাসক ফরিদ আল সোহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে শিগ্রই ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাষ দিয়েছেন।